শহরের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Town):
ভূমিকা (Introduction): বিভিন্ন জায়গায়, বিভিন্ন অবস্থান ও পরিপ্রেক্ষিতে শহর/ নগর গড়ে ওঠে। প্রত্যেক শহর গড়ে ওঠা ও বিবর্তনের ক্ষেত্রে তার সুনির্দিষ্ট ইতিহাস আছে। প্রতিটি শহরের নিজস্ব কিছু ঘরানা বা সত্ত্বা থাকে যার ওপর নির্ভর করে শহরটির বিকাশ ঘটে। এর ফলে শহরের মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি বা প্রকার লক্ষ করা যায়। ভৌগোলিক, সমাজবিজ্ঞানী, অর্থনীতিবিদ কিংবা কোনো বাস্তুকার অথবা পরিকল্পনা রূপায়ক শহরের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে শহরের শ্রেণিবিভাগ করেছেন।
শহরের শ্রেণিবিভাগের ভিত্তি কিংবা দৃষ্টিভঙ্গি বিভিন্ন বিষয় বা উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। যেমন-শহরের বয়স, আয়তন, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি। বিভিন্ন ভৌগোলিক বিভিন্ন উপাদানকে শহরের শ্রেণিবিভাগের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কোনো দেশের কীংবা রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন তা নির্ভর করে ওই দেশ বা রাজ্যে কী ধরনের শহর এবং কত সংখ্যক শহর গড়ে উঠেছে তার ওপর। কোনো শহরকে তার সাংস্কৃতিক পরিচয়ে জানা যেতে পারে। যেমন- এশিয় শহর, আফ্রিকান শহর, ইউরোপীয় শহর প্রভৃতি। তবে বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে শহরের শ্রেণিবিভাগের ক্ষেত্রে শহরের কার্যাবলির (Functions of town) ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।