হ্যারিসের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Harris)
C. D. Harris করেছেন। শহরে মানুষের কর্মে নিযুক্ত এবং কর্মের পরিকাঠামোগত পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে তিনি করেছেন প্রণিবিভাগ করেন। হ্যারিস যুক্তরাষ্ট্রের 10000-এর বেশি জনসংখ্যা বিশিষ্ট প্রায় ৩৪০টি শহরে কর্মীসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে নিম্নলিখিত শহরের শ্রেণিবিভাগ করেন-
(৫) শিল্পনগর (Manufacturing Town): যে সমস্ত নগরের জনসংখ্যার 45% শিল্পকেন্দ্রে কাজ করেন, তাকে শিল্পশহর বলা হয়। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বভাগে এই ধরনের শহর গড়ে উঠেছে।
(ii) খুচরা ব্যাবসাকেন্দ্রিক শহর (Retail City): এই সমস্ত নগরে খুচরা ব্যবসায় নিয়োজিত কর্মীসংখ্যাল পাইকারি ব্যাবসাতে নিয়োজিত কর্মীসংখ্যার কমপক্ষে 2.2 গুণ।
(ii) পাইকারী ব্যাবসাভিত্তিক নগর (Wholesailing City): এই সমস্ত নগরে পাইকারি ব্যবসায়ে নিয়োজিত কর্মীসংখ্যা খুচরা ব্যবসায়ে নিয়োজিত কর্মীসংখ্যার 45%। নিউইয়র্ক, চিকাগো, বোস্টন এই ধরনের শহরের উদাহরণ।
(iv) পরিবহণ শহর (Transportation Town): যেসব নগরের মোট শ্রমিকের 11% কর্মী। ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত আছেন সেগুলি পরিবহণ শহরের অন্তর্গত। পরিবহণ
(৩) খনি শহর (Mining Town): যে নগরের উপার্জনশীল শ্রমিকের 15%-এর বেশি খনিতে কাজ করে তাকে খনিশহরের অন্তর্গত করা হয়।
(vi) বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা কেন্দ্রিক শহর (University and other Educational Centre): যে নগরের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ কর্মী বিভিন্ন শিল্প সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত থাকে সেগুলি এই ধরনের শহরের অন্তর্গত হয়।
(vii) স্বাস্থ্য নিবাস বা অবসরকালীন শহর (Resort or Retirement Town): এই ধরনের নগরের শ্রেণিবিভাগের ক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানী হ্যারিস কোনো পরিসংখ্যান উল্লেখ করেননি। তবে এসব শহর মূলত স্বাস্থ্যনিবাসের ভূমিকা পালন করে। এদের মধ্যে কোনোটি গ্রীষ্মকালীন আবার কোনোটি শীতকালীন স্বাস্থ্যনিবাস হিসেবে পরিগণিত হয়।
(viii) অন্যান্য শহর (Other Towns): অন্যান্য শহরগুলির মধ্যে কাষ্ঠশিল্পকেন্দ্র, সামরিক শহর, নৌশহর, আর্থিককেন্দ্র, বৃত্তিমূলক কেন্দ্র প্রভৃতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।