welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

বিভিন্ন প্রকার জনসংখ্যা পিরামিড (Classification of Age-Sex or Population Pyramid)

বিভিন্ন প্রকার জনসংখ্যা পিরামিড (Classification of Age-Sex or Population Pyramid)


বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের সাদৃশ্য ও পার্থক্য বিশ্লেষণ করে জনসংখ্যাবিদগণ পাঁচ প্রকার জনসংখ্যা পিরামিড চিহ্নিত করেছেন। এগুলি হল-

প্রথম শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিড (Type-1): এই ধরনের পিরামিডের ভূমিভাগ বেশ চওড়া প্রান্তদ্বয় মৃদু ঢালু হয়। যেসব দেশের-

(1) জন্মহার ও মৃত্যুহার খুব বেশি,

(ii) শিশু ও যুবকের সংখ্যা খুব বেশি,

(iii) স্বল্পবয়স্ক নির্ভরশীলতার পরিমাণ খুব বেশি সেই সব দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের আকৃতি এ ধরনের হয় 

পিরামিডের শীর্ষভাগ অপ্রশস্ত এবং তার উচ্চতাও বেশি হয় না।

জন্মহার মৃত্যুহারের চেয়ে বেশি বলেই 15 বছর বা তার কম বয়সী কিশোর-কিশোরী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। মৃত্যুহার বেশি বলে ৩০ বছর বা তার বেশি-বয়স্ক জনসংখ্যাও কম।

এই ধরনের পিরামিড অনুন্নত সমাজ ব্যবস্থাকে নির্দেশ করে।

উদাহরণ-ইথিওপিয়া, বুয়ান্ডা, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশের জনসংখ্যা পিরামিড এই ধরনের

দ্বিতীয় শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিড (Type-II):

ধরুন ।-এর তুলনায় ধরন II পিরামিডের ভূমি আরও চওড়া এবং প্রান্তদ্বয় ভূমি থেকে অনেক বেশি বাঁক নিয়ে শীর্ষবিন্দুতে মিলিত হয়। যেসব দেশে জন্মহার খুব বেশি থাকলেও মৃত্যুহার দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে, সেইসব দেশে এই ধরনের জনসংখ্যা পিরামিড দিন যায়।

(ii) জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি বলে এই ধরনের কর্ম জনসংখ্যা পিরামিড গড়ে ওঠে। জনসংখ্যা পিরামিডের শীর্ষভাগ সরু হয় এবং নির্ভরশীলতার হা বোঝা খুব বেশি হয়।

উদাহরণ- ভারত, ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা, মেক্সিকো, অ মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশের পিরামিড এই ধরনের হয়।

তৃতীয় শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিড (Type-III): এই ধরনের পিরামিডের ভূমি কিছুটা সংকীর্ণ অনেকটা মৌমাছির চাকের মতো। যেসব দেশের জন্মহার ও মৃত্যুহার বেশ কম সেইসব দেশের জনসংখ্য পিরামিডের শীর্ষদেশের আকৃতি এরূপ হয়। গড় পরমায়ু খুব বেশি বলে পিরামিডের শীর্ষদেশ যেমন উঁচু হয় তেমনই স্বল্প বিস্তৃত হয়।

এই ধরনের পিরামিড অপেক্ষাকৃত উন্নত সমাজব্যবস্থাকে নির্দেশ করে।

উদাহরণ- পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির বিশেষত ব্রিটিশ যুক্তরাষ্ট্রে ধরনের জনসংখ্যা পিরামিড দেখা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পিরামিড এরূপ আকৃতিবিশিষ্ট ছিল।

চতুর্থ শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিড 

(Type-IV): এই ধরনের পিরামিডের গঠন বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। এই পিরামিড সেই সমস্ত দেশের পক্ষে উপযুক্ত সেখানে জন্মহার ও মৃত্যুহার বহুদিন কম থাকার পর হঠাৎই জন্মহার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পিরামিডের ভূমি প প্রশস্ত ও প্রান্তভাগ প্রথমে ভিতরের দিকে বাঁক নিলেও পরে বাইরের দিকে ঘণ্টার মতো বাঁক নেয়। এই অবস্থা এ অন্তবর্তীকালীন অবস্থাকে নির্দেশ করছে। এরূপ পিরামিডে যুবক ও বয়স্ক নির্ভরশীল জনসংখ্যার পরিমাণ বেশি হয়। 

সাধারণত নিম্নবিত্ত দেশ থেকে মানুষের উচ্চবিত্ত দেশে পরিব্রাজন করার ফলে ওই উচ্চবিত্ত দেশগুলির জনসংখ্যা পিরামিড ঘণ্টাকৃতি বিশিষ্ট হয়। তবে এই অবস্থা সাময়িকভাবে বিরাজ করে।

উদাহরণ- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি দেশের জনসংখ্যা পিরামিড এই ধরনের হয়।

• পঞ্চম শ্রেণির পিরামিড (Type-V):

এই পিরামিড সেইসব দেশের পক্ষে উপযুক্ত যেখানে জন্মহারের পরিমাণ মৃত্যুহারের তুলনায় কম হয়। ফলে কিশোর-কিশোরীদের সংখ্যা এই দেশগুলিতে কম কিন্তু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সংখ্যা বেশি।

প্রথম দিকে পিরামিডের ভূমি কিছুটা বিস্তৃত হলেও পরবর্তীকালে খুব অবতল প্রকৃতির হয়।

1930-এর দশকে ইউরোপের বহুদেশ এই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছিল।

জাপান ও সুইডেন-এর জনসংখ্যা পিরামিড এই ধরনের।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01