welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

গ্রামীণ বসতির বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Rural Settlement):

গ্রামীণ বসতির বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Rural Settlement):


গ্রামীণ ও পৌর বসতির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও গ্রামীণ বসতির নিজস্ব সত্ত্বা বা বৈশিষ্ট্য আজও বিরাজমান। তবে প্রাচীনকালের গ্রামগুলি অপেক্ষা আধুনিক গ্রামগুলির বৈশিষ্ট। কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে।

(i) গ্রামীণ বসতির মোট জনসংখ্যার ও জনঘনত্ব দুটোই কম হয়।

(ii) এখানকার অধিবাসীদের প্রধান অর্থনৈতিক কাজ হল কৃষিকাজ। এ ছাড়া পশুপালন, মৎস্য শিকার, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকর্ম প্রভৃতিও লক্ষ করা যায়।

(iii) গ্রামীণ বসতিগুলি খুব খোলামেলা জায়গাতে গড়ে ওঠে।

(iv) রাস্তাঘাট ঘরবাড়ি বেশির ভাগ কাঁচা। তবে মাঝে মাঝে পাকা রাস্তা ও ঘর-বাড়িও দেখা যায়।

(v) এখানকার জনবসতি দণ্ডাকৃতি, বিক্ষিপ্ত, গোষ্ঠীবদ্ধ প্রভৃতি ধরনের হয়ে থাকে।

(vi) শিক্ষা, সংস্কৃতি, চিকিৎসা, বিনোদনের সুযোগ-সুবিধা অনেক কম থাকে।

(vii) অধিবাসীদের 75% কিংবা তার বেশি প্রাথমিক অর্থনৈতিক কাজে নিযুক্ত থাকেন।

(viii) গ্রামের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে ছোটো ছোটো পাড়া থাকে।

(ix) গ্রামীণ বসতিতে বস্তি (Slum) সাধারণত দেখা যায় না। তবে কিছু কিছু গ্রামে অস্পৃশ্য জাতি বা সম্প্রদায়ের লোক বসবাস করে।

(X)  প্রধানত কৃষিনির্ভর গ্রামগুলিতে প্রায় প্রত্যেক পরিবারে ধানের গোলা, গোয়ালঘর, বাড়ির মাঝে উঠান প্রভৃতি লক্ষণীয়।


গ্রামীণ বসতি গড়ে ওঠার স্থান (Siting Factors of Rural Settlement):

পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই গ্রামীণ জনবসতি কোনো অর্থনৈতিক কাজ এবং মানুষের জীবনযাত্রার জন্য প্রযোজনীয় দ্রব্যের সহজলভ্যতার ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে।

Sites refers to the actual piece of ground on which the settlement is built.'

Loong and Margan, বসতি যে স্থানে গড়ে ওঠে তাকেই বসতির স্থান বলে। যেমন-একটি গ্রাম এই তীরের উচ্চভূমিতে গড়ে উঠতে পারে, যে স্থানটি বর্ষাকালে প্লাবিত হয় না অথচ যে স্থানটিতে বসতির জন প্রয়োজনীয় জল পাওয়া যায়।

(a) পরিস্থিতি  বা পরিপ্রেক্ষিত (Situation): কোনো গ্রাম কিংবা শহরের তার পার্শ্ববর্তী কিংবা রেপাশের অঞ্চলের পরিপ্রেক্ষিতে অবস্থানকেই ওই গ্রাম বা শহরের অবস্থান বলে। যেমন- কোনো পার্বত্য গুঞ্চলের মাঝে কোনো গ্রামের অবস্থান হতে পারে। কোনো বাজার কিংবা নিকটবর্তী অঞ্চলেও গ্রামের গ্রবস্থান থাকতে পারে।

(b) জলের সরবরাহ (Supply of Water): মানুষের জীবনধারণের জন্য জল অপরিহার্য। তাই জলের অপর নাম জীবন। এজন্য সুপ্রাচীনকাল থেকেই দেখা যায় যে, উৎসের নিকট বসতি বা সভ্যতা গড়ে উঠেছে। পানীয় জল, স্নানের জল, কৃষিকাজে, শিল্পকর্মে জলের প্রয়োজন। তাই সুপ্রাচীনকাল থেকে বর্তমানের গ্রামীণ বসতি বিভিন্ন নদনদী কিংবা জলাশয় অথবা সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে।

(c) উর্বর ভূমি (Fertile Land): উর্বর ভূমি বিশেষ করে উর্বর পলিমাটি এবং সমতল ভূপ্রকৃতি কৃষিকাজের উপযোগী বলে এসব অঞ্চলে বেশি জনবসতি গড়ে ওঠে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জীবিকা সত্ত্বাভিত্তিক কৃষি কিংবা ইউরোপের দেশগুলিতে মিশ্র কৃষি ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন গ্রামীণ বসতির সৃষ্টি হয়েছে। আবার উঁচু জমিতে মানুষ নিরাপত্তার জন্য বসতি গড়ে তোলে।

(d) শুদ্ধভূমি (Dry Land) জমি এবং জল দুটোই পাওয়া গেলে মানুষ সেই সব জায়গায় বসতি গড়ে তোলে, যেখানে বন্যার দ্বারা বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয় না। এজন্য মানুষ নদী অববাহিকার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে বসতি গড়ে তোলে। গঙ্গা নদীর প্লাবনভূমি অঞ্চলের উঁচু জায়গায় শুদ্ধ বিন্দু বসতি (Dry point Settlement) গড়ে উঠেছে।

(e) আশ্রয় (Shelter): ঘরবাড়ি তৈরির উপাদান যে সব জায়গায়।সহজে পাওয়া যায় সেখানে মানুষ ঘরবাড়ি তৈরি করে। প্রাচীন কালে বনভূমির নিকটবর্তী অঞ্চলে কাঠের সহজলভ্যতার জন্য মানুষ ঘরবাড়ি তৈরি করত।এখনকার দিনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষাওয়ার জন্য মানুষ নিরাপদ স্থানে বসতি গড়ে তোলে।

(f)প্রতিরক্ষা (Defence): যেসব এলাকা রাজনৈতিক দিক দিয়ে স্থিতিশীল, যুদ্ধ কিংবা রাজনৈতিক দাঙ্গা প্রায় ঘটে না সেখানে গ্রামীণ বসতি গড়ে ওঠে। প্রাচীন কালে শত্রুর আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পার্বত্য অঞ্চলে কিংবা নদীর ধারে বসতি গড়ে উঠত।


পরিকল্পনার মাধ্যমে গ্রামীণ বসতি গঠন (Development of Rural Settlement through planning): বর্তমানে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই জল, খাদল, আশ্রয় প্রভৃতি তৈরি করে সেখানে পরিকল্পনা মতো বসতি গড়ে তোলা হয়। এসব ক্ষেত্রে নতুন নতুন গ্রাম গড়ে তোলা হয় এবং প্রাচীন আমগুলিকে ধীরে ধীরে নতুন গ্রামগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হয় কিংবা অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়।


গ্রামীণ বসতির বিস্তার ও বিন্যাস (Distribution and pattern of Rural Settlement): গ্রামীণ বসতির বিস্তার ও বিন্যাসকে প্রধানত দুটি ভাগে আলোচনা করা হয়

(a) গ্রামীণ বসতির আয়তনের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রেণিবিভাগ

(b) গ্রামীণ বসতির আকৃতি অনুসারে শ্রেণিবিভাগ।


গ্রামীণ বসতির আয়তন (Size of Rural Settlement): আয়তনের দিক দিয়ে গ্রামীণ বসতি তিন প্রকার-

(i) বিচ্ছিন্ন জনবসতি (Isolated Settlement).

(ii) হ্যামলেট (Hamlet) এবং

(iii) গ্রাম (Village) 


(i) বিচ্ছিন্ন জনবসতি (Isolated Settlement): কোনো এক বসতি থেকে অন্য বসতি অনেক দূরত্বে অবস্থান করলে তাকে বিচ্ছিন্ন জনবসতি বলে। এই ধরনের জনবসতি গড়ে ওঠার কারণ হল- চাষিরা নিজেদের জমিতেই ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করে এবং কৃষিক্ষেত্র পরিচর্যা করে। এজন্য তারা দূরে কোনো গ্রামে বসবাস করে রোজ চাষের জমিতে এসে কাজ করতে চায় না। তা ছাড়া একটি চাষের জমি থেকে অন্য লোকের চাষের জমি অনেক দূরে অবস্থান করে। ফলে বিচ্ছিন্ন জনবসতির উদ্ভব ঘটে।

আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমে, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার ভেড়া, গবাদি পশুপালন ক্ষেত্রের নিকট এই ধরনের জনবসতি গড়ে ওঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের কৃষিজমির পাশে বিচ্ছিন্ন জনবসতি গড়ে উঠতে দেখা যায়।


(ii) হ্যামলেট (Hamlet): অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় গ্রামের কোনো পাড়া কিংবা প্রধান বসতি অঞ্চল থেকে অনেক দূরবর্তী স্থানে কয়েকটি পরিবার একসলো বাস করছে। এধরনের ক্ষুদ্র গ্রামীণ বসতিকে হ্যামলেট (Hamlet) বলে।এই ধরনের বসতিতে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির দূরত্ব কম হয়। অধিবাসীরা পরস্পরের সঙ্গে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের বন্ধনে যুক্ত হয়। উত্তর ইংল্যান্ডের পিনাইন অঞ্চলে এই ধরনের বসতি লক্ষ করা যায়। একটি বা দুটি পরিবার, একটি গির্জা অথবা দোকান কিংবা পোস্ট অফিস পিনাইন অঞ্চলের হ্যামলেটগুলিতে দেখা যায়। পোস্ট অফিস নিজেদের মধ্যে এবং বাইরের গ্রামগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে। ভারতের ক্ষেত্রেও আমরা এরকম হ্যামলেটের অবস্থান দেখি, যেমন- অন্ধ্রপ্রদেশের আরাকু উপত্যকার কাছে অবস্থিত কোট্টাভালাসা হ্যামলেটের উদাহরণ। এখানে প্রায় ২টি থেকে 25টি পর্যন্ত বাড়ি অবস্থান করে। বসতিগুলির নামে শেষে টোলা কিংবা টুলি যুক্ত থাকে। উদাহরণ- কলকাতার সন্নিকটে অবস্থিত আহীরীটোলা কিংবা কুমোরটুলি হ্যামলেটের অপর উদাহরণ।


(iii) গ্রাম (Village): গ্রামীণ বসতির এক বিশেষ রূপ হল গ্রাম (village)। Dickension গ্রামের সংজ্ঞায় বলেন যে, "It is a right angled mesh or stress with or without a central rectangular market place." গ্রামে কৃষিজমি, ঘরবাড়ি ছাড়াও মসজিদ, গির্জা, মন্দির, গ্রামীণ হল, দু-একটি দোকান, পোস্ট অফিস থাকে। গ্রামের আয়তন নির্ভর করে জনসংখ্যা, জমির সহজলভ্যতা, সরকারি বা বেসরকারি পরিকল্পনা, উন্নয়নের মাত্রা প্রাকৃতিক ও সামাজিক অনুকূল অবস্থা প্রভৃতির ওপর।


(iv) গ্রামীণ বসতির আকার (Shape of Rural Settlement): গ্রামীণ বসতির আকার (Stape of Rural Settlement) বলতে কোনো একটি গ্রামীণ এলাকায় বসতিগুলির যে বিস্তারের মাধ্যমে যে আকৃতি তৈরি হয় তাকে বোঝায়। বসতির বিন্যাস এবং অবস্থানের ওপর নির্ভর করে বসতির আকার। এই আকৃতি এবার তাল গ্রামের আকৃতি ও অভ্যন্তরীণ গঠন, সামাজিক ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক এবং প্রাকৃতিক অবস্থার এর নির্ভর করে গড়ে ওঠে।


প্রামীণ বসতির আকৃতি কেমন হবে সে সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে দুটি মতবাদ সম্পর্কে ধারণা দরকার - (১) ঐতিহ্যভিত্তিক মতবাদ (Traditional opinion or view) এবং (2) পরিমাত্রিক মতবাদ (Quantitative opinion)


ঐতিহ্যভিত্তিক মতবাদ (Traditional View):

গ্রামীণ বসতির আকার কেমন হবে সে সম্পার্কে সর্বপ্রথম ধারণা দেন Meitzen. তিনি আকৃতি অনুসারে প্রমনির গ্রামীণ বসতিগুলিকে বিভক্ত করেন। ভারতের ক্ষেত্রে গ্রামীণ বসতিগুলির আকার বিশ্লেষণ করতে দিয়ে বিশিষ্ট ভূগোলবিদ R. L. Singh বিভিন্ন আকৃতির গ্রামীণ বসতির ওপর আলোকপাত করেছেন। আমরা এয়েকটি সম্পর্কে এখন আলোচনা করব।


1. সমকোণাকার বসতি (Rectangular Settlement) ভারত, চিন ও জাপানের মতো কৃষি নির্ভরশীল দেশগুলির গ্রামীণ বসতি সমকোণাকার হয়। প্রমাদের দেশে জমির আয়তন বিঘা পদ্ধতিতে মগ হয় বলে এ ধরনের আকৃতির উদ্ভব ঘটেছে। এক্ষেত্রে একসঙ্গে অনেক ঘরবাড়ি গ্রায়তক্ষেত্রের মতো অবস্থান করে। এই প্রানের বসতির রাস্তাগুলি সরলরৈখিক হয় এবং রাস্তাগুলি পরস্পরের সঙ্গে প্রায় সমান্তরালে মেশে। স্থানীয় সুযোগ-সুবিধা, আলো-হাওয়া পাওয়ার সম্ভাবনার ওপর নির্ভর করে এই ধরনের বসতিগুলি উত্তর-দক্ষিণে কিংবা পূর্ব-পশ্চিম দিক বরাবর বিন্যস্ত হয়।


2. ফাঁকা সমকোণাকার বসতি (Hollow Rectangular Settlement): সমকোণাকার বসতির এক বিশেষ ধরন হল ফাঁকা সমকোণাকার বসতি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমকোণাকার বসতির মধ্যে ফাঁকা জায়গা পড়ে থাকে। আগেকার দিনে গ্রামের মাঝখানে জমিদার বসবাস করত। তাদের দুর্গ বা কেল্লা থাকত মাঝখানে। তার চারপাশ দিয়ে অন্য ঘরবাড়ি অবস্থান করত। একে বলা হয় ফাঁকা সমকোণাকার বসতি। অনেকক্ষেত্রে পুকুর, মন্দির, মসজিদ প্রভৃতিকে কেন্দ্র করে অজাতীয় বসতি গড়ে ওঠে।


3. বর্গাকার বসতি (Square Pattern Settlement): সাধারণত গ্রামে কোনো প্রাকৃতিক সীমানা থাকলে এই ধরনের বসতির উদ্ভব ঘটে। এটি সমকোণাকার বসতির পরিপূরক। রাস্তা, বড়ো বড়ো পুকুর কিংবা চারদিকে অসংখ্য বাগান থাকলে এধরনের বসতির উদ্ভব ঘটে। প্রাচীর বেষ্টিত গ্রামগুলিও এধরণের হয়। ভারতের মধ্য ও নিম্নগাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে এধরনের বসতির অবস্থান লক্ষ করা যায়। বসতিগুলি প্রধানত কৃষিভিত্তিক হয়। এ ধরনের বসতির একদিকে কিংবা চারকোণে ভিন্ন ভিন্ন জাতি, বর্ণ কিংবা পেশার মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে পাড়া বা গোষ্ঠী তৈরি করে।


4. দাবার ছকের ন্যায় বসতি (Chessboard Pattern Settlement): Dickension-এর মতে, গ্রামীণ জনবসতি অনেকক্ষেত্রে দাবা খেলার বোর্ডের মতো করে গড়ে ওঠে। এধরনের বসতির ক্ষেত্রে গ্রামে বাজার থাকতে পারে। দুটি রাস্তা পরস্পর সমকোণে মিলিত হতে পারে। অন্যান্য গলি কিংবা প্রধান রাস্তা পরস্পরের সমান্তরালে বিস্তৃত হয়। এজন্য বসতিগুলি জালের মতো ছড়িয়ে অবস্থান করে। খুব সহজে গ্রামের ভিতরে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়া যায়। সমতল ভূপ্রকৃতির অবস্থান দাবার ছকের ন্যায় বসতি গড়ে ওঠার সহায়ক হয়। বসতিগুলির ভিতরে অনেকসময় কোনো কেন্দ্রীয় বা প্রধান বাজার থাকে। ঝাড়খন্ডের দাইপাড়া বর্গাকার বসতির উদাহরণ।


5. বৃত্তাকার বসতি (Circular Settlement): কোনো স্থানে অনেক ঘরবাড়ি কেন্দ্রসালের কোনো কূপকে কেন্দ্র করে বৃত্তের মতো বিস্তৃত থাকলে তাকে বৃত্তাকার বসতি বলে। অতীতে শত্রুদের আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চারদিক দিয়ে উঁচু বাড়ি তৈরি করে মাঝখানে ফাঁকা জায়গা রাখা হত। আফ্রিকার জুলু উপজাতির 'ক্লাল' বাসগৃহ এধরনের বসতির উদাহরণ।


6. প্রায় গোলাকার বসতি (Semi-Circular Pattern): কোনো নদীর বাঁকে কিংবা অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের তীরবর্তী অঞ্চলে প্রায় গোলাকার বসতি গড়ে ওঠে।


7. নক্ষত্রাকার বসতি (Star Shape Settlement): গোলাকার বসতির বিবর্তিতরূপ হল নক্ষত্রাকার বসতি। এক্ষেত্রে ফুটপাথ ও অন্যান্য রাস্তা বিভিন্ন দিকে বিস্তৃত হয়ে নক্ষত্রের আকার ধারণ করে।


৪. পাখা আকৃতির বসতি (Fan Shape Settlement): কোনো বসতির আকৃতি ও বিন্যাস পাখার মতো দেখতে হলে, তাকে পাখা আকৃতির বসতি বলে। কোনো কেন্দ্র থেকে চারদিকে পথগুলি বিস্তৃত হয়। কেন্দ্রে থাকে জলাশয়, নদীর তীর কিংবা কোনো ধর্মীয় স্থান।


9. আকৃতির বসতি (I and Y Shape Settlement): কোনো একটি রাস্তা অন্যরাস্তার সম্পূর্ণ বিপরীত দিক থেকে এসে মিলিত হলে "T" আকৃতির বসতি গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে একটি রাস্তা। অন্য রাস্তার সঙ্গে সমকোণে মিলিত হয় এবং সেখানেই শেষহয়। তিন দিক থেকে তিনটি রাস্তা এসে স্কুলকোণে মিলিত হয়ে 'V' আকৃতির বসতি ধারণ করে। TY আবৃতি বরি Y আকৃতি বসতি


10. ত্রিকোণাকার বসতি (Triangular Pattern Settlement): কোনো নদীর সঙ্গমস্থলে এজাতীয় বসতি গড়ে ওঠে। নদীর সঙ্গঙ্গমস্থল থেকে বসতিগুলি ক্রমশ বাড়তে থাকলে এধরনের বসতি গড়ে ওঠে।


11. নীহারিকা আকৃতির বসতি (Nebular Pattern Settlement): কিছু কিছু গ্রামীণ বসতি নীহারিকার মতো আকৃতিতে গড়ে ওঠে। একে নীহারিকা আকৃতির বসতি বলা হয়। এধরনের বসতির ক্ষেত্রে রাস্তাগুলি অনেকটা গোলাকারে বিস্তৃত হয়ে বসতির কেন্দ্রে মিলিত হয়। ভারতের গঙ্গা-যমুনা দোয়াব অঞ্চলে নীহারিকা আকৃতির বসতি গড়ে উঠেছে।






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01