জনসংখ্যা পিরামিডের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Age-Sex Pyramid)
যে কোন দেশের জনসম্পদ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা আমরা জনসংখ্যার পিরামির থেকে করতে পারি। জনসংখ্যা পিরামিডের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য গুলি হল-
যে-কোনো দেশের জনসম্পদ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা আমরা জনসংখ্যা পিরামিড থেকে করতে পারি। জনসংখ্যা পিরামিডের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলি হল-
(1) কোনো দেশের জনসংখ্যা পিরামিড বা এজ-সেক্স পিরামিডের অনুভূমিক তল যদি বিস্তৃত হয় তা হলে বুঝতে হবে সেই দেশের মোট জনসংখ্যায় শিশু বা অল্পবয়স্কদের পরিমাণ বেশি। কারণ পিরামিডের কম বয়স্ক নারী পুরুষের পরিমাণ দেখানো হয়।
(ii) কোনো দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যভাগ স্ফীত হলে বুঝতে হবে কর্মক্ষম যুবক-যুবতির সংখ্যা বেশি। অন্যদিকে পিরামিডের মধ্যভাগ যদি সংকীর্ণ হয়, তাহলে কর্মক্ষম মানুষের পরিমাণ কম হয়। মনে রাখা প্রয়োজন, জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যভাগটি যুবক-যুবতির সংখ্যাকে নির্দেশ করে। উদাহরণ
জাপান, ব্রিটেন প্রভৃতি উন্নত দেশগুলির জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যভাগ বেশ স্ফীত হয়। অন্যদিকে মালয়েশিয়া, ভারত প্রভৃতি উন্নয়নশীল দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যভাগ বেশ সংকীর্ণ। অর্থাৎ, জনসংখ্যা পিরামিডের মধ্যভাগে বৈশিষ্ট্যটির ওপর নির্ভর করে কোন দেশের উৎপাদন হার।
(iii) জনসংখ্যা পিরামিডের শীর্ষদেশের আকৃতি বয়স্ক নরনারীর সংখ্যাকে নির্দেশ করে। কোনো দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের শীর্ষদেশ সংকীর্ণ হলে বুঝতে হবে যে, সেই দেশের বয়স্ক নরনারীর সংখ্যা কম। অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য এবং চিকিৎসার সুব্যবস্থা না থাকলে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা কম হয়। আবার কোনো দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের শীর্ষদেশ যদি সংকীর্ণ না হয়ে বিস্তৃত হয়, তাহলে বুঝতে হবে সে দেশের মোট জনসংখ্যার অন্তর্গত বয়স্ক নরনারীর সংখ্যা কম নয়। অতএব সেই দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো এবং চিকিৎসার সুযোগ জনগণ পেয়ে থাকেন। তাই বয়স্ক নরনারীর সংখ্যা বেশি।