welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অঞ্চলের গুরুত্বের পরিবর্তন(The Changing Importance of the C.B.D.):

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অঞ্চলের গুরুত্বের পরিবর্তন(The Changing Importance of the C.B.D.):


কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অঞ্চলের প্রথাগতভাবে যেসব গুরুত্ব ছিল বর্তমানে সেটি কমে যাচ্ছে অনেকক্ষেত্রে। শহরের সীমানা অঞ্চলের সম্প্রসারণ এবং সেখানে বড়ো বড়ো 'Shoping' মলের অবস্থান কিংবা নগরের বিকেন্দ্রীভবন প্রভৃতি C.B.D অঞ্চলের গুরুত্ব হ্রাস করে চলেছে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ব্রিটেনের কয়েকটি শহরে বিগত তিন দশক ধরে এরকম ঘটনা ঘটেছে। C.B.D অঞ্চলের অবলুপ্তি পশ্চিম ইউরোপ এবং আমেরিকার রাজনৈতিক এবং নগর বাস্তুকারদের নিকট দুশ্চিন্তার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

C.B.D-র অবলুপ্তির কারণগুলি হল-

(1)  বাণিজ্য অঞ্চলে জমির উচ্চ দাম এবং অট্টালিকা ভাড়া কিংবা বিক্রয়মূল্য অনেক বেশি। 

(2) ব্যবসায়িক কার্যাবলির প্রসারের জন্য প্রচুর জায়গা দরকার হয়। কিন্তু C B.D অঞ্চলে পর্যাপ্ত জায়গার।

(3)রাস্তাঘাটে যানবাহনের জ্যাম, গাড়ি রাখার জায়গার অভাব, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অঞ্চলের সন্ধ্যে অনান্য প্রাক্কালের সুগম্যতার (accessibility) অভাব বিশেষত সড়কপথে সুগম্যতার অভাব কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অঞ্চলের অবলুপ্তির অপর কারণ।

(4) উচ্চমাত্রার শব্দদূষণ, বায়ুদূষণ কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অন্যলে মানুষের স্বাভাবিক কার্যবলির পক্ষে অস্বাস্থ্যকর অবস্থা তৈরি করেছে।

(5) বর্তমানে প্রচলন, টেলিকনফারেন্স-ও উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব উন্নতি হয়েছে। মোবাইল ফোনে এর সুবিধা, Video conference, E-mail, E-commerce প্রভৃতির প্রচলনের ফলে বিভিন্ন কার্যাবলি শুধুমাত্র অঞ্চলে আর গড়ে উঠছে না।

A. Delimitation of the C.B.D

কেন্দ্রীয় বাণিজ্য অঞ্চলের মানচিত্র প্রস্তুতকরণের ক্ষেত্রে Vence and Murphy নিম্নলিখিত পদ্ধতির উল্লেখ করেছেন-

প্রথমত, নির্দিষ্ট শহর/ নগরের একটি বৃহৎ স্কেলযুক্ত মানচিত্র সংগ্রহ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, ক্ষেত্র সমীক্ষার মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জরিপ করে নিচের বিষয়গুলি জানতে হবে-

(ক) সমস্ত অট্টালিকার মেঝের আয়তন নির্ণয় করতে হবে।

(খ) মোট কতটা ক্ষেত্রফলযুক্ত জমিতে CBD কার্যাবলি গড়ে উঠেছে তা পরিমাপ করা দরকার।

যেমন- কতটা জমিতে, পাইকারী ব্যবসার দোকান গড়ে উঠেছে। বাণিজ্যিক কার্যে কতটা জমি ব্যবহৃত হচ্ছে, বিনোদনমূলক কাজে কতটা আয়তনের জমি ব্যবহৃত হয়েছে প্রভৃতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য জোগাড় করতে হবে।

তৃতীয়ত, উচ্চতা সূচক (Height Index) নির্ণয় করতে হবে নিম্নোক্ত সূত্র ব্যবহার করে।

উচ্চতা সূচক C.B.D-র কার্যাবলিতে নিযুক্ত মোট জমির আয়তন ভূমি ভাগের (ground flour) মেঝের আয়তন ×100

(Height Index)

চতুর্থত, তীব্রতা অনুপাত নির্ণয় করতে হবে। (Intensity Ratio)

তীব্রতা অনুপাত (Intensity Ratio) যত আয়তনের জমি C.B.D কার্যাবলিতে নিযুক্ত আছে মোট গৃহের মেঝের আয়তন ×100

উদাহরণ:

1. কোনো একটি অট্টালিকা ভূমিভাগের মেঝের আয়তন (ground floor area) 50,000 বর্গমিটার। মোট অট্টালিকার মেঝের আয়তন। 1,60,000 বর্গমিটার এবং 80,000 বর্গমিটার জায়গায় C.B.D-র কাজকর্ম পরিচালিত হয়। এক্ষেত্রে উচ্চতা সূচক ও তীব্রতা সূচক নির্ণয় করো।

উচ্চতা সূচক = C.B.D-র কার্যাবলিতে নিযুক্ত মোট জমির আয়তন ভূমিভাগের মেঝের আয়তন

80,000 50,000 1.60

আয়তনের জমি C.B.D কার্যাবলিতে নিযুক্ত আছে

মোট গৃহের মেঝের আয়তন

x100

80,000 160000 2 ×1 50

= 50.0

নগর বসতির অবস্থান (Location of Urban Settlement):

গ্রামীণ বসতির অবস্থান প্রধানত জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক উপাদানগুলির জোগানের ওপর নির্ভরশীল হয়। কিন্তু নগর বা শহর গড়ে ওঠার জন্য বা শহরের অবস্থান বিভিন্ন সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে।

নগর বা শহর বসতি অবস্থানের ক্ষেত্রগুলি হল-

(i) সম্পদের উৎস (Source of Resource): বেশির ভাগ শহর কোনো সম্পদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। যেমন- খনিজ সম্পদকে কেন্দ্র করে খনি শহর (Mining town) এবং মৎস্য সম্পদকে কেন্দ্র করে মৎস্য বন্দর ও শহর গড়ে ওঠে।কানাডা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এমনকি ভারতেও এই ধরনের শহর গড়ে উঠেছে। ভারতের ধানবাদ, আসানসোল, রানিগঞ্জ, বোকারো প্রভৃতি খনি শহরের উদাহরণ।

(ii) পার্বত্য অঞ্চল (Mountain Region): গ্রীষ্মপ্রধান দেশগুলিতে মনোরম জলবায়ুর জন্য পর্বতের উচ্চ অংশে শহর বসতির উদ্ভব ঘটে। ভারতের দার্জিলিং, মুসৌরি, ধরমশালা, রানিক্ষেত প্রভৃতি শহর এই কারণেই গড়ে উঠেছে। মালয়েশিয়ার পার্বত্য ভূমিতেও পার্বত্য শহর গড়ে উঠেছে।

(iii) জলাশয়ের অবস্থান (Location of Water Space): হ্রদ কিংবা সমুদ্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলে জল সম্পদের সহজলভ্যতা এবং জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা পাওয়া যায় বলে শহর গড়ে ওঠে। যেমন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের চিকাগো শহর মিচিগান হ্রদের তীরে অবস্থিত। ভারতের শ্রীনগর ডাল হ্রদের নিকট এবং চেল্লাই শহর সমুদ্র উপকূলে গড়ে উঠেছে।

(iv) বন্দরের অবস্থান (Location of Port): প্রধানত অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য বন্দর গড়ে ওঠে। বন্দরের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থাও গড়ে ওঠে। এসব বন্দরকে কেন্দ্র করে শহর গড়ে ওঠে। ভারতের মুম্বাই, পাকিস্তানের করাচি বন্দর-শহরের উদাহরণ।

(v) খেলার সুযোগ-সুবিধা (Opportunity of Sport): শীতপ্রধান দেশের পার্বত্য অঞ্চলে শীতকালীন খেলাধূলার সুযোগ-সুবিধাকে কেন্দ্র করে শহর গড়ে ওঠে। ফ্রান্স, ইটালি, সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে এজাতীয় শহর আছে। যেমন- সেন্ট মেরিৎজ, ক্লোস্টারস, দাভোস ইত্যাদি।

(vi) ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক কারণ (Religious and Cultural Factors): শহরের অবস্থানের জন্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক কারণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। কোনো অঞ্চলে বড়ো বড়ো মন্দির, মসজিদ, গির্জা, বৌদ্ধ বিহারের অবস্থানের জন্য তীর্থযাত্রীরা জমায়েত হয়। মক্কা, জেরুসালেম, বারাণসী, হরিদ্বার, পুরী, অমৃতসর ইত্যাদি ধর্মীয় কারণেই গড়ে উঠেছে।

(vii) প্রাকৃতিক সৌন্দর্য (Natural Beauty): যেসব অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মানুষকে আকৃষ্ট করে সেইসব জায়গায় পর্যটকরা বেড়াতে আসেন বলে পর্যটন শিল্পের উন্নতি ঘটে। এসব জায়গাতেও শহর গড়ে ওঠে। ইউরোপের প্যারিস, ভিয়েনা, রোম, এশিয়ার ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, ভারতের শ্রীনগর, নৈনিতাল, দার্জিলিং প্রভৃতি শহর এর উদাহরণ।

vii) নিরাপত্তা (Security): প্রাচীন কালে শহরগুলি নিরাপদ স্থানে গড়ে উঠত। এজনা পাহাড়ের উপত্যকা, চূড়া, দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি স্থানে শহর গড়ে উঠত। গ্রিসের এথেন্স, স্কটল্যান্ডের এডিনবরা, জার্মানির হামদুর্গ প্রভৃতি শহরগুলি এই কারণে গড়ে উঠেছে।।

শহরের পরিপ্রেক্ষিত (Town Situation):

পারিপার্শ্বিক এলাকার সঙ্গো শহরের সম্পর্কের ভিত্তিতে শহরের অবস্থান নির্ধারণ করা হয়। শহরের অবস্থান শহরের পরিপ্রেক্ষিতে তিনভাগে ভাগ করা হয়-

(৫) সরলরৈখিক অবস্থান (Linear Situation),

(ii) সীমান্ত অবস্থান (Frontier Situation),

(iii) কেন্দ্রীয় অবস্থান (Central Situation)

(চ) সরলরৈখিক অবান্দান (Linear Situation): ব্যাবসাবাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধা লাভের জনা শহরগুলি অনেকক্ষেত্রে বাণিজ্যপথ বরাবর বিস্তারলাভ করে। দুটি রাস্তা বিপরীত দিক থেকে মিলিত হলে প্রধান সড়ককে কেন্দ্র করে শহরের পত্তন হয়। জর্ডনের আজরা (Azraq), আগাদে (নাইজার), দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন এ জাতীয় শহরের উদাহরণ।

(ii) সীমান্ত অবস্থান (Frontier Situation): কোনো দেশের সীমান্ত অঞ্চলে এই ধরনের শহর গড়ে ওঠে। এজন্য এদেরকে সীমান্ত শহর বলে। অন্য দেশের সঙ্গে ব্যাবসাবাণিজ্যের সুবিধা এরূপ শহর গড়ে ওঠার কারণ। নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ, বেলজিয়ামের বার্জেস, ভারতের বনগা সীমান্ত শহরের উদাহরণ।

(iii) কেন্দ্রীয় অবস্থান (Central Situation): কোনো দেশের মধ্যভাগে এই ধরনের শহর গড়ে ওঠে। প্রধানত নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নতি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এধরনের কেন্দ্রীয় অবস্থানের কারণ। দেশের রাজধানীও সাধারণত মধ্যভাগে অবস্থান করে। ইটালির রোম, রাশিয়ার মস্কো, বাংলাদেশের ঢাকা শহর দেশের মধ্যভাগে অবস্থান করছে।

শহরের কর্মধারা (Functions of Town):

কোনো শহরের অবস্থান, তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সাপেক্ষে অবস্থান প্রভৃতি ওই শহরের কর্মধারাকে নিয়ন্ত্রণ করে। শহরের শ্রেণিবিভাগ আমরা কর্মপরিধির ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করি। যে শহরে কাজের প্রাধান্য বেশি সেই শহরকে সেই কাজের অন্তর্গত করা হয়। যেমন- প্রশাসনিক শহর, খনিশহর, সাংস্কৃতিক শহর ইত্যাদি।

(i) প্রশাসনিক শহর (Administrative Town): কোনো জেলা, রাজ্য, দেশের প্রধান প্রধান প্রশাসনিক স্থানকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক শহর গড়ে ওঠে। এক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কোনো রাজ্য বা দেশের রাজধানীগুলি প্রশাসনের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে লন্ডন, ইসলামাবাদ, ওটোয়া, ওয়াশিংটন, নয়াদিল্লি প্রভৃতি প্রশাসনিক শহরের উদাহরণ।

(ii) প্রতিরক্ষার শহর (Defensive Town): অতীতে এবং বর্তমানে নিরাপত্তা জনিত কারণে অনেক কেন্দ্র শহর গড়ে ওঠে। সৈন্য, বিমানবাহিনী, দেশের উপকূল রক্ষীবাহিনীদের নিরাপদ শহরে রাখা হয়। এই ধরনের শহর বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন-গ্যারিসন শহর, দুর্গশহর, নৌশহর, বিমান বাহিনীকেন্দ্র।

এই ধরনের শহর হল- পোর্টসমাউথ (ইংল্যান্ড), কোটাটিঙ্গি (মালয়েশিয়া) প্রভৃতি; ভারতের উদয়পুর, যোধপুর, ব্যারাকপুর দুর্গশহর এবং পুনে গ্যারিসন শহরের উদাহরণ; পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা ও অন্ডাল বিমানবাহিনী শহর (Air-base-town) এবং নৌশহর হল কোচি ও ভবনগর।

(iii) সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (Cultural Centre): শহর শিক্ষা-সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে বেশি পরিচিত। ধর্মীয় সংস্কৃতি, কলা, স্থাপত্য প্রভৃতি কাজের জন্যও কিছু কিছু শহর বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।

শিক্ষামূলক কেন্দ্র হিসেবে কেম্ব্রিজ, হিডেলবার্গ, অক্সফোর্ড, বারাণসী, বোলপুর, আলিগড় প্রভৃতি এর বিখ্যাত। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে হলিউড, ক্যালিফোর্নিয়া, কান, মুম্বাই শহরগুলি অতি পরিচিতি। ধর্মীয় শহর হিসেবে রোম, লাসা, জেরূশালেম, মক্কা, পুরী, বারাণসী গুরুত্বপূর্ণ।

(ট) সংগ্রাহক কেন্দ্র (Collection Centre): খনিজ তেল উত্তোলন কেন্দ্র, মৎস সংগ্রাহক কেন্দ্র,এই সংগ্রাহক কেন্দ্রেও শহর গড়ে ওঠে। এসব জায়গায় শিল্পাঞ্চলও গড়ে ওঠে।

বিভিন্ন খনিজের আকরিক কেন্দ্রে (আকরিক লোহা, তামার আকরিক প্রভৃতি) শহর গড়ে। এসব শহরের এখন কাজ খনিজ সম্পদ সংগ্রহ করা। আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহর হিরে খনিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।

(v) মৎস বন্দর (Fishing Port): সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে বন্দর এবং পোতাশ্রয়ের নিকট মৎস্য গ্রামগানি-রপ্তানি বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে মৎস্য বন্দর শহর তৈরি হয়। এসব শহরে মাছ ধরা, মাছ শুকনো করা, আমদানি, রপ্তানি, নৌকা তৈরি, মাছের হিমাগার তৈরি প্রভৃতি কাজকর্ম চলে। পশ্চিমবঙ্গের জুনপুট,ফ্রেজারগঞ্জ এই ধরনের শহর।

(৫) কাঠ সংগ্রাহক কেন্দ্র (Wood Collection Centre) নাতিশীতোয় অরণ্য অঞ্চলে প্রধানত উত্তর গোলার্ধে, সরলবর্গীয় উদ্ভিদের নরম কাঠ প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। ফলে এসব কাষ্ঠ সম্পদকে কেন্দ্র করে কাষ্ঠ শিল্প গড়ে উঠেছে। এসব জায়গায় অনেকক্ষেত্রে শহর গড়ে ওঠে।

কানাডা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন, মায়ানমার, থাইল্যান্ড প্রভৃতি দেশে এই ধরনের শহর গড়ে উঠেছে।

(vii) উৎপাদন কেন্দ্র (Production Centre): যেসব অঞ্চলে শিল্প গড়ে ওঠে, সেখানেও শ্রমশিল্প বিভিন্ন কেন্দ্র গড়ে ওঠে। যেমন- আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পিটসবার্গ ও ভারতের জামশেদপুর, দুর্গাপুর ইত্যাদি শহরে লৌহ-ইস্পাত কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। শিল্প বিপ্লবের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিল্প শহর গড়ে উঠেছে। শিল্প শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো করে গড়ে ওঠে। এজন্য কাঁচামাল ও বাজারের মধ্যবর্তী স্থানেও শহর গড়ে উঠতে পারে।

(viii) বাজার শহর (Market Town): অভ্যন্তরীণ কিংবা বৈদেশিক বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলিকে শহর গড়ে ওঠে। ফলে গ্রামীণ বসতি অপেক্ষা এসব অঞ্চলে পৌর বসতির একাধিপত্ব লক্ষণীয়।

ভারতের মুম্বাই, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক বর্তমানে ব্যাবসাবাণিজ্যের পীঠস্থানে পরিণত হয়েছে।

(ix) বন্দর শহর (Port Town): আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সুবিধার জন্য বন্দরকে কেন্দ্র করে বন্দর শহর গড়ে ওঠে। আমদানি-রপ্তানিমূলক কাজই এসব শহরের প্রধান কাজ।

কলম্বো, হংকং, ঢাকা, সিঙ্গাপুর বন্দর শহরের উদাহরণ।

(x) আবাসিক শহর (Residential Town): কিছু কিছু শহরের প্রধান কাজ হল জনসমাবেশ গড়ে তোলা। তাই অসংখ্য ঘরবাড়ি তৈরি সারাবছর চলতে থাকে। বাগান এবং বাজারও গড়ে তোলা হয়।

Suburban. Dormitory town, New town. Over Spill town -এগুলি আবাসিক শহর হিসেবে পরিচিত। ব্রিটেনের কিম্বারল্যান্ড, মালয়েশিয়ার পিটালিং জায়া এই ধরনের শহরের উদাহরণ। এসব শহর রেলপথে এবং সড়কপথে দেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে যুক্ত থাকে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01