পশ্চিমবঙ্গে মানুষের জীবনে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব
পশ্চিমবঙ্গ মৌসুমি জলবায়ুর প্রভাবাধীন রাজ্য। ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব এখানে মানুষের জীবনে খুব বেশি।
পোষাক-পরিচ্ছদে: শীতকালে শীতবস্ত্র, গ্রীষ্মকালে হাল্কা সুতির পোষাক পরিধেয়।
খাদ্যোপকরণে: শীতকালে ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ নানান শাক-সব্জি, নতুন আলু এবং বর্ষাকালে আম, জাম, কাঠাল প্রভৃতি মৌসুমি ফল ছাড়াও সুস্বাদু ইলিশ মাছের যোগান বাঙালির রসনা পরিতৃপ্ত করে।
ফুলের বাহার: শীতকালে ফোটে প্রচুর গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, বাঙালির ফুলের বাগান এই সময় ভরে ওঠে। শরৎকালে কাশ ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি। বসন্তে কৃরুচূড়া ও পলাশ গাছ ফুলে ফুলে লাল হয়ে যায়। প্রকৃতির আনন্দময় রূপ বাঙালি মনকে মুগ্ধ করে।
খেলাধুলা: শীতকালে মাঠে মাঠে ক্রিকেট ও বর্ষায় বৃষ্টিভেজা মাঠে ফুটবল বাঙালির অতি প্রিয় খেলা।
বিনোদন: শীতে পাড়ায় পাড়ায় জলসায় গান-বাজনা, নাচ-আবৃত্তি প্রভৃতি সংস্কৃতিমনস্কতার পরিচয় পাওয়া যায়। এই সময়ে ঝড়-বৃষ্টি থাকে না বলে নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানগুলি সম্পন্ন হয়।
ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব: শরৎকালে দুর্গাপূজা বাঙালির সবচেয়ে বড়ো উৎসব। অনেক সময় ইদের চাঁদও দেখা যায়। রমজান ও দুর্গাপূজার ঋতু শরৎ-হেমন্ত। বাঙালি ছেলেমেয়ে নতুন পোষাকে সেজে ওঠে।
বাঙালির স্বাচ্ছন্দ্যবোধ: গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে পাখা, বাতানুকূল যন্ত্রের ব্যবহার বেড়ে যায়। বর্ষায় ছাতা ও রেনকোট নিয়ে বের হতে হয়। শীতের নরম রোদে গা গরম করতে ভালো লাগে। বসন্তে উত্তরে ঠান্ডা হাওয়াকে সরিয়ে দখিনা বাতাসের আগমনে এক আরামদায়ক স্বচ্ছন্দ্য পরিবেশ গড়ে ওঠে।