জনসংখ্যার বিবর্তনের তত্ত্বে ভারতের অবস্থান
Thompson 1929 খ্রি: যে জনসংখ্যার বিবর্তন তত্ত্ব প্রকাশ করেন সেখানে তিনি জনসংখ্যার বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করেন। এই পর্যায়গুলি হল-
প্রথম পর্যায়: উচ্চ জন্মহার উচ্চমৃত্যুহার কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি স্থির জনসংখ্যা বিশিষ্ট সমাজ ও অর্থনীতির দুর্বল অবস্থা।
দ্বিতীয় পর্যায়: উচ্চ জন্মহার ও নিম্নমৃত্যু হার দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি শিল্পোন্নয়ন উন্নয়নের শুরু।
তৃতীয় পর্যায়: নিম্ন জন্মহার ও নিম্নমৃত্যুহার ধীর জনসংখ্যা বৃদ্ধি শিল্প ও বাণিজ্যিক অর্থনীতি → সমাজ ও অর্থনীতির সবল অবস্থা।
চতুর্থ পর্যায়: নিম্ন জন্মহার ও অতিনিম্নমুখী মৃত্যুহার স্থিতিশীল জনসংখ্যা → সবল অর্থনীতি দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।
এদেশে এখনও উচ্চ জন্মহার বিরাজ করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির বার্ষিক হার 1.76% (2011 খ্রিস্টান্ডে পরিসংখ্যান অনুসারে)।
(i) মৃত্যুহার পূর্বের তুলনায় হ্রাস পেয়েছে। তবে জন্মহার এখন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় নি।
(iii) জন বিস্ফোরণ দেখা দিয়েছে আমাদের দেশে। কারণ সম্পাদের তুলনায় খুব দ্রুতহারে মোট জনসংযা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
(iv) মিশ্র অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য আমাদের দেশে বর্তমান।
(v) কৃষি ও শিল্পে ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটছে। নগরায়ণ প্রক্রিয়া দ্রুতহারে ঘটে চলেছে।
(vi) শিশু জনসংখ্যার ভাগ এখনও বেশি। 2011 খ্রিস্টাব্দের পরিসংখ্যান অনুসারে দেশের মোট জনসংখ্যার 13.1% 0-6 বছর বয়সের শিশু।
(vii) উন্নয়নশীল অর্থনীতির বৈশিষ্ট্য আমাদের দেশে পরিলক্ষিত হয়।
সুতরাং এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে ভারতকে জনবিবর্তন তত্ত্বের দ্বিতীয় পর্যায়ের অন্তর্গত কর যায়।