welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

ম্যালথাসের বক্তব্যের মূল বৈশিষ্ট্য

ম্যালথাসের বক্তব্যের মূল বৈশিষ্ট্য


ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বটি বিশ্লেষণ করে তাঁর বক্তব্যের কয়েকটি মূল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। যেমন

(i) জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং খাদ্যের জোগানের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। তবে এই সম্পা প্রকৃতি হল নেতিবাচক (Negative)।

(ii) খাদ্যের উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে যদি না জনসা বৃদ্ধির হার অন্য কোনো নিয়ন্ত্রক দ্বারা প্রভাবিত কিংবা প্রতিহত হয়।

(iii) শিক্ষিত এবং সামাজিকভাবে সচেতন মানুষ নিজেদের সুঅভ্যাস, সংস্কৃতি এবং সুরুচির মাধ জনসংখ্যার বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

(iv) জনসংখ্যার অতিরিক্ত বৃদ্ধি খরা, বন্যা, যুদ্ধবিগ্রহ, মহামারি, দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি বিপর্যয়গুলির মায় নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।

গুরুত্ব (Importance):

ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্বটি অর্থনীতি, জনসংখ্যা ভূগোল, বিবর্তনসূচক জীববিদ্যা প্রভৃতি বিষা চিন্তাধারাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।

(i) তাঁর তত্ত্বটি ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, কেনিয়া প্রভৃতি দেশগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ দৃষি অনাহার, অপুষ্টিতে ভোগা প্রভৃতি কারণে এই দেশগুলির জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

(ii) বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব স্বল্পোন্নত এবং সমস্ত উন্নত দেশগুলিতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাজ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে।

(iii) ম্যালথাস ভূত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং এর কুফল সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের মধ্যে সচেতনতা নিয়ে এসেছে

(iv) জনসংখ্যার বৃদ্ধির জন্য নর-নারীর পরস্পরের প্রতি যে জৈবিক আকর্ষণ সেটাকেও অস্বীদ করা যায় না।

(v) Charles Darwin তাঁর বিবর্তনবাদ তত্ত্বটি ম্যালথাসের তত্ত্বের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠা করেছে

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01