welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

নগরীয় এলাকা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন

নগরীয় এলাকা, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন


নগর পরিকল্পনায় গুরুত্ব (The importance of urban planning)

বিশ্বব্যাপী সমস্ত দেশেই নগর পরিকল্পনার পদক্ষেপগুলি বিভিন্ন কারনে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন-

নগর বৃদ্ধির সহায়ক (Contributes to urban growth): নগর পরিকল্পনার অধীনে নির্দিষ্ট কোনও একটি শহর বা নগরাঞ্চলে শিল্পোন্নয়ন, কর্মসংস্থান, উচ্চশিক্ষা এবং অন্যান্য পরিসেবার বহুবিধ সুযোগ চারপাশের অনুন্নত অঞ্চলগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণ মানুষ একসাথে টেনে আনে। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট নগরটির আয়তন কলেবরে যথেষ্ট বেড়ে যায়।

উচ্চ মানের জীবনযাত্রা (High standard of living): উপযুক্ত পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে ওঠা কোনও নগরাঞ্চলে যখন বাসস্থান, জীবিকা, শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সার্বিক উন্নতি ঘটে, তখন সেখানে মানুষের জীবনযাত্রার মানও যথেষ্ট উৎকৃষ্ট সীমায় পৌঁছে যায়।

আবাসন সংকট মোকাবিলা (Dealing with the housing crisis) নগরায়ণের সাথে পাল্লা দিয়ে পৌর ক্ষেত্রগুলিতে বাড়তে থাকা বিপুল জনসংখ্যার চাপ যে আবাসন সমস্যার উদ্রেক ঘটায়, তা নিরসনের ক্ষেত্রে পরিকল্পিত ভূমি ব্যবহার প্রণালীকে বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। যেমন-দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শুধু যুক্তরাজ্যেই প্রায় 4 মিলিয়ন নতুন বাসগৃহের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তাই 1947 খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার নগর পরিকল্পনা আইনের মাধ্যমে ভূমি ব্যবহার ব্যবস্থায় একাধিক পরিবর্তন এনে এই সমস্যার সমাধান করে। 1909 খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীতে প্রথম যে টাউন প্ল্যানিং অ্যাক্ট তৈরী হয়েছিল তার মূল প্রেক্ষাপট ছিল মানুষের আবাসন সমস্যার নিরসন ঘটানো।

নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা (Safe and healthy lifestyle): কোনো নগর সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে গড়ে উঠলে, সেখানে যানজট, নিকাশি সমস্যা, বস্তি সমস্যা প্রভৃতি দ্রুত নিরসন ঘটে সেটি আরও পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।

• পরিবেশগত ভারসাম্য লাভ (Gain covironmental balance): বর্তমানে গোর পরিকল্পনায় টেকসই উন্নয়নের বিষয়টি ভীষণভাবে গুরুত্ব পাওয়ায়, সঠিক পদ্ধতিতে ভূমি ব্যবহার, বর্জ্য পদার্থের পূর্ণব্যবহার, দূষণ প্রতিরোধ, উদ্ভিদ সংরক্ষণ, সম্পদের অপচয় রোং ঘটিয়ে নগরের পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠেছে।

দুযোগের পূর্বাভাস (Disaster (orecast): বর্তমানে বিশ্বের প্রায় প্রতিটি শহর বা নগরাঞ্চলেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কৌশলগুলি পরিকল্পনাকারীদের কাছে অতি কাঙ্ক্ষিত একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষকরে, মানবসৃষ্ট এবং প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট সমস্ত ধরনের দুর্যোগের ধাক্কা প্রতিরোধক্ষম আধুনিক নগর পরিকল্পনার ব্যবহার নগরের স্থিতিস্থাপক কাঠামোকে আরও মজবুত করেছে। যার ফলে, নগরাঞ্চলে মানুষের জীবন, সম্পত্তি, অর্থনীতি এবং সমাজের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি আগের চেয়ে কিছুটা হলেও কমেছে।

অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব (Positive impact on the economy): আমরা সকলেই জানি, আর্থিক পরিসরের সমৃদ্ধি ঘটানো যে কোনও নগর পরিকল্পনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলির মধ্যে একটি। সেই কারণে, পরিকল্পিত নাগর কাঠামোয় শিল্পোন্নয়ন, কর্মসংস্থান, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বাণিজ্য-নীতি সহ একাধিক বিষয় অত্যন্ত বিধিসম্মত হয়ে ওঠে। বিশেষকরে, পরিকল্পিতভাবে নগরাঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিসর বৃদ্ধি একদিকে যেমন সেখানে চাহিদা ও জোগানের ভারসাম্য বজায় রাখে, অন্যদিকে নিকটবর্তী বা দূরবর্তী গ্রামাঞ্চলগুলির জন্যেও উন্নয়নের একাধিক ইতিবাচক সুযোগ তৈরি করে দেয়।

জন প্রত্যাশার প্রতিফলন (Reflection of public expectations): উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বর্তমানে নগর পরিকল্পনায় সার্বিক অংশগ্রহণ মূলক নীতিসমূহ প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে, নগরকেন্দ্রীক স্বায়নের বহুমুখী প্রচেষ্টায় জনসমষ্টির যাবতীয় প্রত্যাশাগুলিকে বাস্তবে রূপদান করা অত্যন্ত সহজতর হয়েছে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01