welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

ভারতে নগরায়ণ 2001-2011 খ্রিস্টাব্দ (Urbanisation in India 2001-2011):

ভারতে নগরায়ণ 2001-2011 খ্রিস্টাব্দ (Urbanisation in India 2001-2011):


ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশেও দ্রুত নগরায়ণ ঘটছে। 2001 খ্রিস্টাব্দে ভারতের মোট জনসংখ্যার 27-8% ছিল নগরবাসী। কিন্তু 2011 খ্রিস্টাব্দে ভারতে শহুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় মোট জনসংখ্যার 31-16%। 2001 খ্রিস্টাব্দের (286 মিলিয়ন শহরে জনসংখ্যা) তুলনায় 2011 খ্রিস্টাব্দে এই জনসংখ্যা (377 মিলিয়ন) প্রায় 91 মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতে শহরের সংখ্যাও বিগত সেন্সাসের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। 2001 খ্রিস্টাব্দে ভারতের শহরের সংখ্যা ছিল 5161টি। কিন্তু 2011 খ্রিস্টাব্দে ভারতে শহরের সংখ্যা হয় 7935টি অর্থাৎ, 2774টি শহরের বৃদ্ধি ঘটেছে। বিগত 10 বছরে ভারতে শহরের সংখ্যা বৃদ্ধির হার হল 53-74%!


ভারতের রাজাভিত্তিক নগরায়ণের হার বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে, কিছু কিছু রাজ্যে নগরায়ণের হার বেশ বেশি। গোয়া রাজ্যে মোট জনসংখ্যার 62-7% শহরে বসবাস করেন। বিগত দশকের তুলনায় এই রাজ্যে শহুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ 12-47%। হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে শহরে জনসংখ্যার পরিমাণ সবচেয়ে কম (মোট জনসংখ্যার মাত্র 10-04%)। এই রাজ্যে শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণও খুবই কম (২% প্রতি)


ভারতে যে সব রাজ্যে শহুরে জনসংখ্যার পরিমাণ খুব বেশি সেই সব রাজ্য হল- মিজোরাম (51-51%),মিলনাড়ু (48-45%), মহারাষ্ট্র (45-23%), কেরল (47-72%), গুজরাট (42-58%), কর্ণাটক (38-57%), বাশ্বার (37-49%), হরিয়ানা (34-79%), অন্ধ্র প্রদেশ (33-49%) এবং পশ্চিমবঙ্গ (31-89%)। এই সব রাজ্যে ভারতের জাতীয় মান অপেক্ষা বেশি হারে মানুষ শহরে বসবাস করেন। এই সব রাজ্যে অকৃষিকাজে অন্তে ব্যক্তির সংখ্যা অনেক বেশি। বেশির ভাগ মানুষ বড়ো শিল্প, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং সবকি ও চাকুরিতে নিযুক্ত আছেন।


বিহার (11-30%), অসম (14-08%), ওড়িশা (16-68%), মেঘালয়ে (20-08%) নগরায়ণের হার খুব ৪র গতি সম্পন্ন এবং এই সব জায়গায় মানুষ বেশি হারে গ্রামে বসবাস করেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে লাগারায়ণ প্রক্রিয়া লক্ষ করলে দেখা যায় যে, দিল্লীতে (জাতীয় রাজধানী অঞ্চল) শহরে জনসংখ্যার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি (9-75%), অর্থাৎ দিল্লীর জনসংখ্যার মাত্র 2.5% গ্রামে বসবাস করেন।


আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সবচেয়ে কম শহুরে জনসংখ্যা পরিলক্ষিত হয়। এখানে মোট জনসংখ্যার 15-67% শহরবাসী। দাদরা ও নগর হাভেলী (46-62%) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শহরে জনসংখ্যা বেশ কম। কিন্তু লাক্ষাদ্বীপ (78-08%), দমন এবং দিউ (75-16%) এবং পুডুচেরীতে (68-31%) শহুরে জনসংখ্যার হার অনেক বেশি।


2011 সেন্সাসে ভারতে নগরায়ণ প্রক্রিয়া এবং শহুরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতিপ্রকৃতি থেকে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি স্পষ্ট হয়:


(i) ভারতে নগরায়ণের হার বিচার করে বলা যায় যে, আমাদের দেশ poorly urbanised। প্রত্যেক তিন জন ব্যক্তির মধ্যে মাত্র একজন ব্যক্তি শহরে বসবাস করেন।


(ii) বিগত দুই দশকে ভারতে মাত্র 5-06% হারে শহরে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।


(iii) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে নগরায়ণের হার অনেক বেশি লক্ষ করা যায়।


(iv) বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে নগরায়ণের হারের তারতম্য অনেক বেশি মাত্রায় ঘটেছে। পার্বত্য অঞ্চল, মরু অঞ্চল এবং সমভূমি অঞ্চলের মধ্যে নগরায়ণের হারের তারতম্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়।


(৮) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মোট জনসংখ্যার 35-67% মানুষ শহরে। কিন্তু কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লীতে মোট জনসংখ্যার 97-5% শহরে বসবাস করেন।


(vi) যে রাজ্যগুলিকে শিল্প, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উন্নয়নের হার খুব বেশি সেই রাজ্যগুলিতে নগরাণের হারও অনেক বেশি।


(vii) পার্বত্য রাজ্যগুলিতে প্রধানত যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অনুন্নতি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বাধা থাকার ফলে সামগ্রিক ভাবে নগরায়ণ প্রক্রিয়া এখানে খুব ধীর গতিতে চলছে।


(viii) বিগত তিন দশক ধরে হিমাচল প্রদেশ, বিহার, অসম, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থান, জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যে নগরায়ণের হার প্রায় স্থিতিশীল অবস্থায় আছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01