welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

সীমান্তের প্রকারভেদ (Types of Front) :

সীমান্তের প্রকারভেদ (Types of Front) :


বায়ুপুঞ্জের প্রকৃতি, ধর্ম, গতিবেগ ও বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থা অনুযায়ী সীমান্তকে চার ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-


(ক) স্থিতিশীল বা স্থানু সীমান্ত (Stationary Front),

(খ) শীতল সীমান্ত (Cold Front),

(গ) উয় সীমান্ত (Warm Front),

(ঘ) অন্তঃধৃত সীমান্ত (Occluded Front) ।


চিত্র নং 16.1-তে একটি আবহাওয়া মানচিত্রের মাধ্যমে এই চারধরনের সীমান্ত ও এদের সাংকেতিক চিহ্ন উল্লেখ করা হল। চিত্রে A থেকে B বিন্দু পর্যন্ত স্থিতিশীল সীমান্ত; B থেকে C পর্যন্ত শীতল সীমান্ত; C থেকে D পর্যন্ত উয় সীমান্ত এবং C থেকে L বিন্দু পর্যন্ত অন্তঃধৃত সীমান্ত বিকাশ লাভ করেছে।



চিত্র ১৬.১ বিভিন্ন ধরনের সীমান্ত


(ক) স্থিতিশীল বা স্থানু সীমান্ত (Stationary Front or Quasi-Stationary Front) :

যে সকল সীমান্তে বায়ুর গতিবেগ খুব একটা থাকে না অর্থাৎ, প্রায় শান্তভাবে অবস্থান করে তাকে স্থিতিশীল বা স্থানু সীমান্ত বলে। সাধারণত উয়ু ও শীতল বায়ু একে অপরের সমান্তরালে প্রবাহিত হলে উভয়প্রকার বায়ুপুঞ্জের সীমানা নির্দেশক অঞ্চলে স্থিতিশীল সীমান্তের উৎপত্তি হয় (চিত্র: 16.1-এর A থেকে B বিন্দু পর্যন্ত)। আবহাওয়া মানচিত্রে পর্যায়ক্রমিক লাল ও নীল রঙের রেখা দ্বারা স্থিতিশীল সীমান্তকে দেখানো হয়। শীতল বায়ুর দিকে স্থিতিশীল সীমান্তরেখাটি লাল রঙের অর্ধবৃত্ত এবং উয় বায়ুর দিকে নীল রঙের ত্রিভুজ দ্বারা উপস্থাপন করা হয়।


★স্থিতিশীল সীমান্তে নিম্নলিখিত আবহাওয়াগত বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়-

⇒ এই সীমান্ত বরাবর বিস্তৃত অঞ্চলে শান্ত আবহাওয়া লক্ষ করা যায়।

⇒ সীমান্ত বরাবর পরিষ্কার থেকে স্বল্প মেঘাচ্ছন্নতা লক্ষ করা যায়।

⇒ সাধারণত সীমান্তের পূর্ব দিক থেকে শীতল বায়ু ও পশ্চিম দিক থেকে উয় বায়ু প্রবাহিত হয়।

⇒ উষ্ণ ও শীতল উভয় প্রকার বায়ুপুঞ্জই শুষ্ক প্রকৃতির হওয়ায় স্থিতিশীল সীমান্ত বরাবর তেমন কোনো মেঘ ও বৃষ্টিপাত সংঘটিত হয় না।


(খ) শীতল সীমান্ত (Cold Front) :

শীতল বায়ুপুঞ্জটি যখন উয় বায়ুপুঞ্জের দিকে অগ্রসর হয় তখন শীতল বায়ুপুঞ্জের অগ্রভাগকে শীতল সীমান্ত বলে। শীতল সীমান্তটি মূলত ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত উয় বায়ুকে ঠেলে সামনের দিকে অগ্রসর হয় এবং সীমান্ততল বরাবর বায়ুপুঞ্জটি নিম্নমুখী হয়। আবহাওয়া মানচিত্রে শীতল সীমান্তটি ত্রিভুজ অঙ্কিত নীল রঙের রেখা দ্বারা উপস্থাপন করা হয়। ত্রিভুজের মস্তক অংশটি শীতল বায়ুপ্রবাহের দিক নির্দেশ করে।




ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি ঘর্ষণজনিত বাধার প্রভাব সর্বাধিক হওয়ায় শীতল বায়ুর গতিবেগ হ্রাস পায়। তাই ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি শীতল সীমান্ততলটি অধিক খাড়া ঢালযুক্ত হয়। কিন্তু উচ্চতা বৃদ্ধিতে ঘষর্ণজনিত বাধা কমতে থাকায় বায়ুর গতিবেগ বাড়তে থাকে। ফলে সীমান্ত- তলের ঢাল ধীরে ধীরে মৃদু হতে থাকে তাই সমগ্র সীমান্ততলটি দেখতে উত্তল প্রকৃতির হয়। এই সীমান্ততলের গড় ঢাল হল 1 : 50.


★ শীতল সীমান্ত বরাবর যে সমস্ত আবহাওয়াগত অবস্থা লক্ষ করা যায়, সেগুলি হল-

(1) শীতল সীমান্ত বরাবর বায়ুর তাপবিযুক্তি হার (Lapse rate) খুব বেশি হওয়ায় তীব্র পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয়। ফলে দ্রুত ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় মেঘের বিকাশ ঘটে। এর প্রভাবে সীমান্তের সম্মুখে প্রবল বৃষ্টিপাত ও বজ্রঝঞ্ঝা লক্ষ করা যায়। যে রেখা বরাবর এই ধরনের বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয় তাকে Squall line বলে।


(ii) শীতল বায়ুপুঞ্জটি যদি জলভাগের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তাহলে জলীয় বাষ্পের ধারণ ক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় শীতল সীমান্ত বরাবর বৃষ্টিপাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।


(iii) শীতলবায়ু অধিক ঘনত্ব সম্পন্ন হওয়ায় অধিক ভারী হয়। তাই এটি শীতল সীমান্ত বরাবর নিম্নমুখী হয়। ফলে শীতকালে এরূপ শীতল সীমান্ত ভূপৃষ্ঠের কোনো অঞ্চলের ওপর অবস্থান করলে ওই অঞ্চলে দ্রুত তাপমাত্রা হ্রাস পায় ও শৈত্যপ্রবাহ লক্ষ করা যায়।


(গ) উষ্ণ সীমান্ত (Warm Front) :

শীতল বায়ুপুঞ্জের দিকে অগ্রসরমান উন্নু বায়ুর অগ্রভাগকে উষ্ণ সীমান্ত বলে (চিত্র 16.1-এর C থেকে D বিন্দু পর্যন্ত অংশে)। উয় সীমান্ততল বরাবর উন্নু বায়ুপুঞ্জটি শীতল বায়ুপুঞ্জের গা বেয়ে ওপরের দিকে উঠতে থাকে। আবহাওয়া মানচিত্রে উয় সীমান্তটি অর্ধবৃত্ত অঙ্কিত লালরঙের রেখার দ্বারা উপস্থাপন করা হয়। অর্ধবৃত্তগুলি উদ্বু বায়ুপ্রবাহের দিক নির্দেশ করে।


শীতল বায়ুর পৃষ্ঠতল বরাবর উয় বায়ুটি উঠতে বাধ্য হওয়ায় ঘর্ষণজনিত কারণে বাধার সম্মুখীন হয়। তাই উন্ন বায়ুর গতি হ্রাস পায়। ফলে সীমান্ততলের ঢালও মৃদু হয়। একটি উয় সীমান্তের গড় ঢাল সাধারণত 1 : 300 থেকে 1:150 হয়ে থাকে।


চিত্র : ১৬.৩ উষ্ণ সীমান্তের ত্রিমাত্রিক চিত্র


উয় সীমান্তের সম্মুখে শীতল বায়ুপুঞ্জ স্তূপাকারে অবস্থান করে। তাই উয় সীমান্তের ঢাল বেয়ে উয় বায়ু ঊর্ধ্বমুখী হলে শীতল বায়ুর সংস্পর্শে ওই উয় বায়ু শীতল হতে শুরু করে। এভাবে শীতলীভবনের কারণে মেঘের সৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টিপাত শুরুহয়। তবেশীতল সীমান্তে যেমন বায়ুপ্রবাহ ও তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন ঘটে, উয় সীমান্তের ক্ষেত্রে এই দুই-এর পরিবর্তন খুবই ধীরে হয়। চিত্র : 16.3-তে দেখা যায় মূল সীমান্ত থেকে প্রায় 1000 থেকে 1200 মিটার দূরত্বে উঁচু আকাশে সিরাস মেঘ অবস্থান করে। উন্ন সীমান্তের ঠিক কাছাকাছি নীচু আকাশে সিরোস্ট্যাটাস মেঘের (Cs) সৃষ্টি হয়। উয় বায়ু উন্ন সীমান্তের ঢাল বেয়ে শীতল বায়ুপুঞ্জের ওপর উঠতে শুরু করলে অস্থিতিশীল (unstable) আবহাওয়াগত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার জন্য একাধিক তরঙ্গগুচ্ছের ন্যায় সিরোকিউমুলাস মেঘ (Cu) সৃষ্টি হয়। এই ধরনের আকাশকে 'ম্যাকারেল স্কাই' (mackerel sky) বলে। সীমান্ত সৃষ্টির চুড়ান্ত পর্যায়ে আরও অধিক উচ্চতায় মধ্য আকাশে নিম্বোেস্ট্র্যাটাস মেঘের (Ns) সৃষ্টি হয়। এই ধরনের মেঘের বিকাশে উয় সীমান্তে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এই বৃষ্টিপাত বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। তবে পরিচলন স্রোতের অভাবে উয় সীমান্তে বজ্রঝড় মেঘের বিকাশ খুবই কম হয়। সীমান্তের ঢালের ওপর বৃষ্টিপাতের প্রগাঢ়তা নির্ভর করে। সীমান্তের ঢাল বেশি হলে বৃষ্টি পাতের প্রগাঢ়তাও বেড়ে যায়। আবার, ঢাল মৃদু হলে বৃষ্টিপাতের প্রগাঢ়তা কমে।


শীতকালে উন্ন সীমান্ত বরাবর উয়তার বৈপরীত্য লক্ষ করা যায়। একে সীমান্তবর্তী উয়তার বৈপরীত্য (Frontal inversion) বলা হয়। কারণ উয় সীমান্তের ওপর উয়বায়ু ও নীচে শীতল বায়ুপুঞ্জের অবস্থান লক্ষ করা যায়।


(ঘ) অন্তঃধৃত সীমান্ত (Occluded Front) :

শীতল বায়ুর গতিবেগ উয় বায়ু অপেক্ষা বেশি হওয়ায় উয় ও শীতল সীমান্তের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ কমতে কমতে শীতল সীমান্তটি একসময় উয় সীমান্তকে ধরে ফেলে এবং অবশেষে উন্ন সীমান্তকে অতিক্রম করে ফেলে। এর ফলে যে নতুন সীমান্তের সৃষ্টি হয় তাকে অন্তঃধৃত সীমান্ত বা অক্লুডেড সীমান্ত বলে। এই অক্লুডেড সীমান্ত সৃষ্টি হওয়ার প্রক্রিয়াকে অক্রুসান (occlusion) বলে। আবহাওয়া মানচিত্রে এই অক্লুডেড সীমান্তটি একটি বেগুনি রঙের রেখার সঙ্গে উয় সীমান্তের অর্ধবৃত্ত এবং শীতল সীমান্তের ত্রিভুজ দ্বারা পর্যায়ক্রমে অবস্থান করে উভয় চিহ্ন দুটি বায়ুপ্রবাহের দিকে অবস্থান করে। অক্লুডেড সীমান্ত সৃষ্ট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উন্ন বায়ুপুঞ্জটি ভূমি থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও শেষে বায়ুপুঞ্জটি উন্নতা হারিয়ে শীতল হয়ে পড়ে।


★ অন্তঃধৃত সীমান্তের শ্রেণিবিভাজন (Classification of occluded front): 

বায়ুপুঞ্জের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী দুই ধরনের অক্লুসান বা অক্লুডেড সীমান্ত সৃষ্টি হতে দেখা যায়-(i) শীতল অন্তঃধৃত সীমান্ত (Cold Oc- cluded Front) এবং (ii) উয় অন্তঃধৃত সীমান্ত (Warm Occluded Front) ।


(i) শীতল অন্তঃধৃত সীমান্ত (Cold Occluded Front) :

অক্লুডেড সীমান্তের পিছনের দিক থেকে অগ্রসর হওয়া শীতল বায়ুপুঞ্জটি যদি সীমান্তের সামনের দিকের শীতল বায়ুপুঞ্জের তুলনায় অধিক শীতল হয়, তখন সেই অক্লুসান প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট সীমান্তকে শীতল অন্তঃধৃত সীমান্ত বলে। সাধারণত অক্লুডেড সীমান্তের পিছন দিক থেকে অগ্রসরমান শীতল বায়ুপুঞ্জটি মহাদেশীয় মেরু বায়ু হলে এবং সম্মুখভাবে শীতল বায়ুপুঞ্জটি মহাসাগরীয় মেরু বায়ু হলে মহাদেশীয় বায়ুপুঞ্জটি অধিক শীতল হওয়ায় শীতল অন্তঃধৃত সীমান্ত সৃষ্টি করে। চিত্র: 16.4-তে তিনটি প্রস্থচ্ছেদ অঙ্কিত ত্রিমাত্রিক চিত্রের মাধ্যমে শীতল অন্তঃধৃত সীমান্ত সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি দেখানো হল। চিত্রে AA' প্রস্থচ্ছেদ বরাবর দ্রুতগতিসম্পন্ন শীতল সীমান্তটি ধীরগতি সম্পন্ন উন্ন সীমান্তের ক্রমশ কাছাকাছি এসে উপস্থিত হচ্ছে। BB' প্রস্থচ্ছেদ বরাবর শীতল সীমান্তটি উয় সীমান্তকে অতিক্রম করে ফেলে এবং অক্রুসান শুরু হয়। CC' রেখা বরাবর দেখা যায় যে উদ্বু বায়ুপুঞ্জ এবং উয় সীমান্ত উভয়ই ভূমিভাগ ছেড়ে শীতল সীমান্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এবং শীতল বায়ুর প্রভাব বেশি থাকায় উভয় সীমান্ত মিলে শীতল প্রকৃতির অক্লুডেড সীমান্তের সৃষ্টি করেছে।


শীতল প্রকৃতির অক্লুডেড সীমান্ত বরাবর আবহাওয়াগত পরিস্থিতি, মেঘের বিকাশ, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই উন্ন সীমান্তের ন্যায়।






চিত্র 16.4 শীতল অন্তধৃত সীমান্ত সৃষ্টির প্রক্রিয়া
---------------------------------------------------------------------


চিত্র : ১৬.৫ উষ্ণ অন্তধৃত সীমন্ত সৃষ্টির প্রক্রিয়া।



(ii) উয় অন্তঃধৃত সীমান্ত (Warm Occluded Front) :

অক্লুডেড সীমান্তের পিছনের দিক থেকে অগ্রসর হওয়া শীতল বায়ুপুঞ্জটির তুলনায় যদি সীমান্তের সামনের দিকের শীতল বায়ুপুঞ্জটি অধিক শীতল হয়, তখন সেই অক্লুসান প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট সীমান্তকে উয় অন্তঃধৃত সীমান্ত বলে। সাধারণত এই ধরনের অক্লুসান প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে অক্লুডেড সীমান্তের পিছন দিক থেকে অগ্রসরমান শীতল বায়ুপুঞ্জটি মহাসাগর থেকে আগত মেরু বায়ুপুঞ্জ এবং সম্মুখবর্তী শীতল বায়ুটি মহাদেশীয় অঞ্চল থেকে আগত শীতল মেরু বায়ুপুঞ্জ হয়। মহাসাগরীয় বায়ুপুঞ্জ মহাদেশীয় বায়ুপুঞ্জের তুলনায় অধিক উন্মু প্রকৃতির হওয়ায় উয় প্রকৃতির অক্লুডেড সীমান্তের সৃষ্টি করে। চিত্র : 16.5-তে দুটি প্রস্থচ্ছেদের ত্রিমাত্রিক চিত্রের মাধ্যমে উষু সীমান্ত অক্লুসান প্রক্রিয়াটি দেখানো হল। চিত্রে DD' রেখা বরাবর দ্রুতগতিসম্পন্ন শীতল সীমান্তটি উয় সীমান্তের খুব কাছাকাছি চলে আসে। EE' রেখা বরাবর শীতল সীমান্তের পশ্চাদ্বর্তী বায়ুপুঞ্জটি উয় সীমান্তের




সামনের দিকে শীতল বায়ুর তুলনায় কম শীতল ও ঘন হওয়ায় উদ্বু সীমান্তকে অতিক্রম করার পর উদ্বু সীমান্ত বরাবর ওপরে উঠতে থাকে এবং উন্নু ও শীতল সীমান্ত মিলে উষু প্রকৃতির অক্লুডেড সীমান্তের সৃষ্টি করে।


ওপরের চারপ্রকার সীমান্ত ব্যতীত ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলীয় স্তরে আরও এক ধরনের সীমান্তের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। একে ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলীয় সীমান্ত (Upper Air Front) বলে। ট্রপোপজের কাছে জেট বায়ুপ্রবাহের (Jet stream) ফলে ব্যারোট্রপিক অবস্থা সৃষ্টি হলে একটি শীতল বায়ুস্রোত ভূপৃষ্ঠের দিকে নিম্নমুখী হয়। এই বায়ুপুঞ্জের সামনের অংশে সৃষ্ট হওয়া শীতল সীমান্তকে ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলীয় সীমান্ত (Upper Air Front) বলে। এই সীমান্ত কখনোই ভূপৃষ্ঠকে স্পর্শ করে না। নাতিশীতোয় ঘূর্ণবাত বিকাশে এই সীমান্তটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।





একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01