welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

প্রগৌণ বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চলন: বজ্রঝড়, (Tertiary wind circulation : Thunderstorm )

প্রগৌণ বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চলন: বজ্রঝড়, (Tertiary wind circulation : Thunderstorm )


ভূমিকা (Introduction) :

প্রগৌণ বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চলন বলতে ক্ষুদ্র পরিসরে (Micro Level) সংগঠিত বায়ু সংবহনকে বোঝায়। এর পরিধি ও প্রভাব স্বল্প পরিসর স্থান জুড়েই লক্ষ করা যায়। প্রধানত গৌণ বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চলন (Secondary atmospheric circulation) থেকেই প্রগৌণ সঞ্চলনের উদ্ভব। গৌণ বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চলনে সৃষ্ট স্থৈতিক শক্তির গতিশক্তিতে রূপান্তরের কারণেই প্রগৌণ সঞ্চলনের সৃষ্টি হয়। এর পরিধি মোটামুটি 200 কিলোমিটারের মধ্যেই থাকে।


প্রগৌণ বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চলন মূলত সরাসরি উত্তাপের (thermally direct) কারণেই সৃষ্টি হয়। স্থানীয় কোনো কারণে উয়তার পার্থক্য তৈরি হলে যে সকল পরিচলন কোশের সৃষ্টি হয় সেগুলির প্রভাবেই বায়ুমণ্ডলে সাধারণত প্রগৌণ সঞ্চলন সৃষ্টি হয়। এটি অনেকটা হ্যাডলি বর্ণিত এককোশীয় তত্ত্বের ন্যায়। উন্নতার পার্থক্যজনিত কারণে স্থৈতিক শক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হলেই এই ধরনের সঞ্চলন সৃষ্টি হয়। বজ্রঝড় (Thunderstorm), টর্নেডো (Tornedo), স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ (Local winds) প্রগৌণ বায়ুমণ্ডলীয় সঞ্চলনের অন্তর্গত।


 বজ্রঝড় (Thunderstorm) :

বায়ুপ্রবাহের দ্বিতীয় ও তৃতীয় আবর্ত প্রণালীর মধ্যে বজ্রঝড় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক ঘটনা। এটি একটি চরম পর্যায়ের বায়ুমণ্ডলীয় বিপর্যয় এবং পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সংগঠিত হওয়া বায়ুমণ্ডলীয় গোলযোগ। খুবই স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্প পরিসরে স্থানীয়ভাবে উন্নতার চরম পার্থক্যের কারণে সৃষ্ট পরিচলন কোশের প্রভাবে দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর দ্রুত অ্যাডিয়াবেটিক প্রক্রিয়ায় শীতলীভবনের (adeabetic cooling) কারণে সৃষ্ট কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝঞ্ঝাকে বজ্রঝড় (Thunderstorm) বলে। ভারতে প্রাক্-মৌসুমি ঋতুতে সৃষ্টি হওয়া কালবৈশাখী (Nor' Wester) বজ্রঝড়ের একটি উদাহরণ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01