welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

অঞ্চল বিশ্লেষণ (Region Analysis)

অঞ্চল বিশ্লেষণ (Region Analysis):

কোনও স্থান বা পরিসরকে সঠিকভাবে সনাক্তকরণ এবং তাদের শ্রেণিবিভাগের ক্ষেত্রে যে-কাজটি সর্বাধিক গুরুত্ব পায়, তা হল বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে অঞ্চলের যথাযথ বিশ্লেষণ। এই ধরনের অঞ্চল বিশ্লেষণে প্রথাগত বিভিন্ন ভৌগোলিক ধ্যান-ধারণা, যেমন-স্থান (Place), কাল (Time), এবং পরিসর (Extent) সংক্রান্ত একাধিক মাপকাঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। এখানে অঞ্চল বিশ্লেষণের বেশ কয়েকটি ভৌগোলিক ধারা উপস্থাপন করা হল।

 প্রত্যক্ষ জ্ঞানমূলক বিশ্লেষণ (Direct cognitive analysis)

: মানুষ দীর্ঘকাল যাবৎ যে পারিপার্শ্বিকতায় বসবাস করে, সেখান থেকে অর্জিত বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অথবা কোনও ব্যক্তির মনোজগৎ থেকে উৎপন্ন অঞ্চলকেন্দ্রিক বেশকিছু ধ্যানধারণা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অঞ্চল বিশ্লেষণের সহায়ক হয়। আসলে প্রত্যক্ষ জ্ঞানমূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমেই বিভিন্ন অঞ্চল একে অপরের থেকে পৃথক পৃথক চরিত্রে প্রকাশ পায়।

 কারণ-ফলাফলগত বিশ্লেষণ (Cause-conclusive analysis): 

পার্থিব প্রতিটি উপাদানই পরস্পর কার্যকারণ সম্পর্কে আবদ্ধ। তাই অঞ্চল বিশ্লেষণে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে কারণ-ফলাফলগত সমস্ত বিষয়কেই যথেষ্ট প্রাধান্য দেওয়া হয়। বিশেষ করে, ক্রিয়ামূলক অঞ্চল বিশ্লেষণে এই ধরনের কারণ ফলাফল সংক্রান্ত ধারণাটি অত্যন্ত তাৎপর্যতা পায়। যেমন শিল্পপাদন, কৃষিকাজ, একাধিক বিষয়গুলি আঞ্চলিক উপস্থাপনা এর পদ্ধতি অন্তর্গত। 

প্যানিক বিশ্লেষণ (Spatial analysis): 

এখানে দৈশিক এককের কয়েকটি বিশেষ উপাদানগুলিকে প্রাধান্য দিয়ে অঞ্চল বিশ্লেষণ করা হয়। যেমন সম্পদের ভিত্তিতে জনসংখ্যা অঞ্চল বিশ্লেষণ।

ক্রিয়ামূলক বিশ্লেষণ (Functional analysis):

 সাধারণত ক্রিয়ামূলক আশালিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে পরস্পর নির্ভরশীল বেশকিছু আর্থসামাজিক উপাদানকে যথেষ্ট প্রাধান্য দেওয়া হয়। অবশ্য বর্তমানে অঞ্চলের ক্রিয়ামূলক বিশ্লেষণে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটগুলিও সমানভাবে বিবেচনাযোগ্য। এখানে আঞ্চলিক স্তরের সমস্ত ধরনের Input এবং Output সংক্রান্ত উপাদান বা বিষয়গুলিকে একটি নির্দিষ্ট কাঠামোয় ফেলে সেগুলির যথাযথ বিশ্লেষণ করা হয়। যেমন-কোনও শিল্পাঞ্চল বা শহরাঝলের বিভিন্ন উপাদানগুলির আন্তঃসম্পর্ক নির্ধারণ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01