জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান প্রকল্প (National Rural Employment Guarantee Project):
1991 খ্রিস্টাব্দে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সমস্ত গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থানের বর্ধিত সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য একটি পাইলট প্রকল্পের প্রস্তাব করেছিল, যার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল-প্রতিটি মৌসুমে কৃষি শ্রমিকের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি, গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে নিরাপত্তা প্রদান প্রভৃতি। এই প্রকল্পটিকে বাস্তবায়িত করতে 2005 খ্রিস্টাব্দের 25শে আগস্ট National Rural Employment Gaurantee Act (NREGA) প্রণীত হয়েছিল, যা ওই বছরের 7 সেপ্টেম্বর National Rural Employnment Gaurantee Scheme (NREGS)-এ উপনীত হয়। অবশ্য 2008 খ্রিস্টাব্দে এই প্রকল্পের নাম পুনরায় পরিবর্তন ঘটিয়ে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা আইন (MGNREGA)-এ পরিণত করা হয়। ভারতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রায় 200টি জেলার কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে প্রাথমিকভাবে এই প্রকল্পটি 2 ফেব্রুয়ারী 2006 খ্রিস্টাব্দ থেকে কার্যকরী হয়।
• লক্ষ্য (Goal):
যে সমস্ত লক্ষ্যকে সামনে রেখে MGNREGA প্রণয়ন করা হয়েছে, তার কয়েকটি হল-(i) দেশে সামাজিকভাবে বঞ্চিতদের [বিশেষ করে নারী, তফশিলি জাতি (SC) এবং তফশিলি উপজাতিদের (ST)] ক্ষমতায়নে বিশেষ সুযোগ সৃষ্টি করা। (ii) গ্রামীণ এলাকায় থাকা প্রাকৃতিক সম্পদগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা। (iii) প্রাপ্তবয়স্ক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানকে ঘিরে জীবিকার নিরাপত্তা প্রদান। (iv) সর্বধারন গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীদের জন্যে বছরে অন্তত 100 দিনের কাজ সুনিশ্চিত করা। (v) একটি মজবুত এবং উৎপাদনশীল গ্রামীণ পরিকাঠামো রূপায়ণ। (vi) পঞ্চায়েতিরাজ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী বা গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করে শাসন প্রক্রিয়ার দায়বদ্ধতাকে স্বচ্ছভাবে প্রতিষ্ঠা করা প্রভৃতি।
• অন্তর্ভুক্তি এবং সুযোগসুবিধা (Inclusion and opportunity):
MGNREGA-এর সুবিধায় অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেমন-
* এই প্রকল্পের অধীনে প্রথমেই গ্রামীণ পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যদের তাদের নাম, বয়স এবং ঠিকানা ছবিসহ গ্রাম পঞ্চায়েতে জমা করা আবশ্যক।
* এরপর যাবতীয় তথ্য গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসার দ্বারা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে প্রমাণপত্ররূপে একটি জবকার্ড (ছবি ও বিবরণ সহ) প্রদান করা হয়।
* MGNREGA জবকার্ড অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি পঞ্চায়েত বা প্রোগ্রাম অফিসারের কাছে লিখিতভাবে কাজের জন্য (অন্তত চৌদ্দ দিনের একটানা কাজের জন্য) একটি আবেদন জমা দিতে পারে।
আবেদনকারীর কাজের বৈধ আবেদন প্রোগ্রাম অফিসার নির্দিষ্ট তারিখের রসিদসংগ্রহ করবেন। এরপর আবেদনকারীকে কাজ প্রদানের চিঠি ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিস থেকে পাঠানো হবে এবং পঞ্চায়েত অফিসে তার একটি কপি সংরক্ষিত থাকবে।
সাধারণত আবেদনকারীরা তাদের নিজস্ব এলাকার 5km-এর মধ্যেই কাজ পাবেন। এর বেশি দূরে কাজে যাতায়াতের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত 10% অর্থ মজুরির সাথে যুক্ত হবে।
* কর্মস্থলে কোনও শ্রমিক শারীরিকভাবে অক্ষম বা অসুস্থ হয়ে পড়লে, তার চিকিৎসা ও যাবতীয় ব্যয়ভার রাজ্য সরকারের ওপর বর্তাবে।
• অনুমোদিত কার্যাবলী (Authorized Functions):
MGNREGA স্কিমে গ্রামাঞ্চলে যে সমস্ত কার্যাবলীতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তার কয়েকটি হল-(a) গ্রামাঞ্চলে রাস্তাঘাট পরিষ্কার, (b) পুকুর বা জলাশয় সংস্কার, (c) জল সংরক্ষণ এবং জল সঞ্চয়ের ব্যবস্থাপনা, (d) শুদ্ধতা বা খরা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে তুলতে বনসৃজন ও বৃক্ষরোপণ করা, (e) সেচ ব্যবস্থার জন্য খাল সম্প্রসারণ বা খাল সংস্কার, (1) বন্যাপ্লাবিত বা কন্যা সম্ভাবনায় এলাকায় নিয়ন্ত্রণমূলক বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ, (g) ভূমি সংস্কার, স্থানীয় সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রভৃতি।
• অর্থের জোগান ও নিয়ন্ত্রণ (Allotment of fund and control):
সমগ্র প্রকল্পটিকে বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির অর্থ সংক্রান্ত দায়বদ্ধতার বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট আইনের 22 নং ধারায় বর্ণিত হয়েছে। বিশেষ করে, উল্লিখিত কর্মসূচীভিত্তিক দক্ষ-অদক্ষ কর্মীদের মজুরি এবং উপকরণ বাবদ যাবতীয় খরচের 75% কেন্দ্র বহন করবে, এবং বাকি 25%-এর দায়ভার রাজ্যগুলিকে বহন করার কথা বলা হয়।
MGNREGA আওতাভুক্ত সমস্ত কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় দায়িত্ব "Central Employment Guarantee Council"-এর ওপর ন্যস্ত রয়েছে। যে সমস্ত সদস্যদের নিয়ে এই কাউন্সিলটি গড়ে তোলা হয়েছে, তারা হল-
কর্মাধ্যক্ষ কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কমিশনের সভ্যবৃন্দ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচিত বিশেষ প্রতিনিধিগণ হয়
স্বনির্ভর এবং সমৃদ্ধ করে তোলার একটি সফল প্রয়াস হল গ্রাম-গুচ্ছ পরিকল্পনা। এটি গ্রামীণ এলাকার এমন একটি কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎকে নির্দেশ করে, যা বৃহৎ গ্রামগুলিকে শুধুমাত্র তাঁদের জনবসতির দিক থেকে নয়, বরং সেখানকার আর্থ-সামাজিক সম্ভাবনাকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে স্থানীয় এবং প্রতিযোগিতামূলক সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়।
পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই গ্রাম-নগরের বিকাশমুখী প্রক্রিয়ায় সরাসরি 'Rurban' শব্দটিকে ব্যবহার করতে নারাজ, পরিবর্তে 'Village cluster' বা 'Rurban cluster' শব্দটিকে ব্যবহার করাই অধিক শ্রেয় মনে করা।
ধারণা (Concept):
গ্রাম গুচ্ছ বা "Village cluster" এমন একটি স্বতন্ত্র ধারণা যা নির্দিষ্ট একটি আন্তঃসম্পর্কযুক্ত পারিসরিক কাঠামোয় অনেকগুলি গ্রামকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একত্রিত করার ফলে সমস্ত গ্রামই একসাথে উন্নয়নমূলক কাজে একে অপরের শক্তিকে ব্যবহার করার সর্বাধিক সুযোগ পায় এবং সংশ্লিষ্ট গ্রামগুচ্ছের মধ্যে দিয়ে প্রাপ্ত ফলাফল ভিত্তিক প্রত্যেকের বিকাশের সম্ভাবনাকে যথেষ্ট বাড়িয়ে তোলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্রামীণ অঞ্চলের উন্নয়নের সাপেক্ষে এই ধরনের পরিকল্পনাটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি (Sectoral approaches) বলা যেতে পারে। সাধারণত, "Village cluster"-এর পরিকল্পনাভিত্তিক মডেলটি নির্দিপ্ত করে যে, প্রতিটি গ্রামীণ এলাকার সমাজ, আঞ্চলিক অর্থনীতি এবং পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ বিকাশের এমন এর ইঙ্গিত থাকবে, যাতে কৃষি এবং শিল্পভিত্তিক সহযোগিতাপূর্ণ পরিস্থিতি একটি স্বতন্ত্র ইউনিট হিসেবে কাজ করবে।
পটভূমি (Background):
পৃথিবীতে আঞ্চলিক উন্নয়নের সাপেক্ষে গ্রাম-গুচ্ছ পরিকল্পনার ধারণাটি খুব বেশি দিনের নয়। বিগত শতাব্দির দশকে মধ্য ইউরোপে নিউক্লিয়েটেড গ্রামগুলির ছোট ছোট বসতি থেকেই বেশ কয়েকটি গুচ্ছ গ্রামের সমতুল্য ক্ষেত্রের উদ্ভব ঘটেছিল। তৎকালীন অধিকাংশ গুচ্ছ গ্রামগুলি ছিল অনেক খামারবাড়ি অথবা গির্জার কেন্দ্রস্থল হিসাবে মোটামুটিভাবে প্রায় বৃত্তাকারে গড়ে ওঠা। পরবর্তীকালে, নগর বসতি অন্যলের সম্প্রসারণ গুচ্ছ গ্রামের ধারণাটিকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তোলে। 1995 খ্রিস্টাব্দে বেলজিয়ামের ডাচভাষী অঞ্চলে আঞ্চলিক সহযোগিতা প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে পাঁচটি গ্রামীণ ক্লাস্টার গঠন করা হয়েছিল। বর্তমানে, মিটজেসল্যান্ড বেলজিয়ামের সুপরিচিত কৃষিখাদর অঞ্চল যার একটি স্বতন্ত্র গুচ্ছসত্ত্বা রয়েছে। চিনের বিভিন্ন প্রদেশেও এই ধরনের অনুরুপ গ্রাম-গুচ্ছ পরিকল্পনার নিদর্শন পাওয়া যায়।
ভারতের গ্রাম গুচ্ছ ক্ষেত্র (Village cluster field in India)
আমাদের দেশের জাতীয় গ্রামীণ মিশন(National Rural Mission বা 'NRuM')-এর অধীনে একটি বিশেষ কর্মসূচীর আওতায় গ্রামগুলিকে গুচ্ছাকারে বিকশিতকরণের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে গ্রামীণ সম্প্রদায়ের জীবনীসত্ত্বায় বহুমুখী সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। এজন্য ভারত সরকার 2016 খ্রিস্টাব্দের 21 ফেব্রুয়ারি, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বুরান মিশন (SPMRM) চালু করেছে, যার প্রধান লক্ষ্যই হল অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং ভৌত অবকাঠামো সুবিধার ব্যবস্থা করে সমষ্টিগত গ্রামীণ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ঘটানো এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় 300টি 'Rurban cluster' বা গ্রাম-গুচ্ছ গঠন করা।
উদ্দেশ্য (Porpuse):
ন্যাশনাল আরবান মিশন (NRuM) এর আওতায় গ্রাম গুচ্ছকরণের প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল-
• স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উদ্দীপিত করা।
বৃহদায়তন গ্রামগুলিকে মৌলিক পরিষেবার আধার হিসেবে গড়ে তোলা।
গ্রামগুলিকে সুপরিকল্পিতভাবে Rurban ক্লাস্টার তৈরি করা।
• গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন পরিসেবার মাধ্যমে উন্নয়ন ছড়িয়ে দেওয়া।
• গ্রামীণ এলাকায় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা প্রভৃতি।
গঠন (Formation):
সাধারণত গঠনগত দিক থেকে একটি 'Village cluster' দেশের ভৌগোলিক পরিসরের সমতল ও উপকূলীয় এলাকায় প্রায় 25,000 থেকে 50,000 জনসংখ্যা এবং মরুভূমি, পাহাড়ি বা উপজাতীয় এলাকায় 5000 থেকে 15000 জনসংখ্যা কাজ নিয়ে গড়ে তোলা হয়। এই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিতে যে কোনো উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ঘিরে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির প্রশাসনিক ইউনিটগুলির মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়মূলক নীতির অনুসরণ করতে দেখা যায়।
বৈশিষ্ট্য (Characteristics):
(i) প্রামীণ গুচ্ছ এলাকা হল বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি উন্নয়নমূলক স্থিতিশীল কার্যকরী ক্ষেত্র।
(ii) এখানে গ্রামীণ ও পৌরক্ষেত্রের উপযোগী বেশকিছু পরিষেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।
(ii) আঞ্চলিক নির্দেশিকার রূপায়ণ এবং টেকসই উদ্ভাবনার একটি গুরুত্বপূর্ণ আধার হল এই গ্রামীণ গুচ্ছ এলাকা।
(iv) এখানে গ্রামীণ বসতিক্ষেত্রের একটি প্রধান কেন্দ্র এবং বেশ কয়েকটি উপকেন্দ্র থাকতে পারে, যেগুলি বহুমুখী সুযোগসুবিধা প্রদান করে থাকে।
(V) আবাসন, সামাজিক সম্পর্ক, প্রকৌশলী কাঠামো এবং পরিবহণের মতো একাধিক বিষয়গুলি গ্রামীণ গুচ্ছ এলাকা নির্ধারণে প্রধান গুরুত্ব পায়।
(vi) প্রতিটি গ্রামীণ গুচ্ছ এলাকায় পরিবেশ এবং সুষম আর্থ সামাজিক কাঠামোর ঐতিহ্য বিশেষভাবে বজায় থাকে।
প্রস্তাব (Proposal):
SPMRM-এর অধীনে গ্রামীণ ক্লাস্টারের দুটি বিশেষ ক্ষেত্রের প্রস্তাব করা হয়, যথা-
(1) অ-উপজাতি-অধু্যুষিত গ্রামীণ গুচ্ছ(Tribal Valley Cluster) অ-উপজাতীয় ক্লাস্টার নির্বাচনের জন্য, মন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যে নেতৃস্থানীয় উপজেলাগুলি থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য (গ্রামীণ জনসংখ্যার দশকীয় বৃদ্ধি, বিশেষ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র, পর্যটন ও তীর্থস্থানের উপস্থিতি, কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের গতিপ্রকৃতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের সুশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ প্রভৃতি)-কে গুরুত্ব দেওয়া হয়। সাধারণত, রাজ্য সরকার মারফত এই ধরনের এলাকা নির্ধারণ করা হয়।
(ii) উপজাতি অধ্যুষিত গ্রামীণ খুচ্ছ (Tribal Village Cluster): ভারতের উপজাতি অধ্যুষিত ক্লাস্টারগুলির সনাক্তকরণের জন্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রক তপশিলি উপজাতি জনসংখ্যার পরিমাণকেই প্রাধান্য দিতে থাকে। এই ধরনের গ্রাম গুচ্ছ সাধারণত, চিহ্নিত বৃদ্ধি কেন্দ্র (যেমন-ব্লক হেডকোয়ার্টার, বৃহৎ গ্রাম বা সেন্সাস টাউন প্রভৃতি)-গুলির আশেপাশে প্রায় 5-10 কিমি ব্যাসার্ধের ভৌগোলিক পরিসর জুড়ে অবস্থান করে।
প্রসঙ্গত, দেশের শীর্ষ 100টিরও বেশি উপজাতি অধ্যুষিত জেলায় গ্রাম গুচ্ছ গড়ে তোলা হয়েছে। এই ধরনের উন্নত গ্রামীণ ক্ষেত্রগুলিকে প্রয়োজনীয় সমস্ত ধরনের সুযোগসুবিধা প্রদান করে আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্কারমূলক প্রকল্পের একীভূতকরণ ঘটেছে।
সুষম উন্নয়নে নতুন ভারত গড়ার লক্ষ্যে গৃহীত অন্যান্য কর্মসূচী (Other Programs Aimed for making a New India for Balanced Development):
বর্তমানে ভারতের সুষম উন্নয়নের বিরামহীন লক্ষ্যগুলি কোনও বিশেষ ছকে আর বাধা নেই, বরং সর্বব্যাপী উন্নয়নকে যেকোনওভাবে সম্প্রসারিত করাই এখানকার রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান আদর্শ হয়ে উঠেছে। সেই কারণে, অধিকাংশ পরিশেষে বলা যায়, সমগ্র ভারতে মানুষের বহুমুখী চাহিদা, উন্নয়নকামী পথ এবং গণতান্ত্রিক পথে রাষ্ট্র পরিচালনার মাউলশিগুলি নতুন করে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন ঘটে চলেছে। বর্তমানে, দেশের সুষম উন্নয়নের এই সকল ভাবনার সমন্বয় হয়।