সীমান্ত (Fronts)
ভূমিকা (Introduction):
উচ্চ নাতিশীতোয় মণ্ডলের আবহাওয়াগত অবস্থা বর্ণনার ক্ষেত্রে সীমান্তের গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ এই অঞ্চলেই ভিন্ন উন্নতা ও ঘনত্বের বায়ুপুঞ্জের সমাগম ঘটে। ভিন্ন ধর্মের হওয়া এই বায়ুপুঞ্জ না মিশে সীমান্তের সৃষ্টি করে। এই সীমান্ত সৃষ্টির প্রক্রিয়াই নাতিশীতোয় অঞ্চলের আবহাওয়াগত গোলযোগ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
সংজ্ঞা (Definition):
সেনাবাহিনীর প্রথম সারিকে বোঝানোর জন্য প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সীমান্ত (Front) শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয়। তবে আবহবিদ্যায় নরওয়ের বার্জেন স্কুল অফ মেটেওরোলজিস্ট (Bergen School of Meteorolo- gists)-এর একদল আবহবিজ্ঞানী ভিলেম বার্কনেস্ (Vilhelm Bjerkness) ও তাঁর পুত্র জেকব বার্কনেস্ (Ja- kob Bjerkness), হালভর সোলবার্গ (Halvor Solberg) এবং টর বার্জেরন (Tor Bergeron) নাতিশীতোয় অঞ্চলে ঘূর্ণবাতের বিকাশ প্রসঙ্গেঙ্গ প্রথম 'সীমান্ত' শব্দটি ব্যবহার করেন। সীমান্ত (front) হল ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত একটি পৃথকীকরণ এলাকা যা ভিন্ন তাপমাত্রা ও ভিন্ন ঘনত্বের দুটি বায়ুপুস্তুকে আলাদা করে। এই সীমান্ত বরাবর যে উল্লম্ব তল দ্বারা দুটি বায়ুপুঞ্জকে পৃথক করা যায়, তাকে সীমান্ততল (frontal surface) বলে। এক-একটি সীমান্ততলের বিস্তার 15 থেকে 200 কিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। পিটারসন (1941)-এর মত অনুযায়ী সীমান্ততল ভূ পৃষ্ঠকে যে রেখা বরাবর স্পর্শ করে তাকেই সীমান্ত (Front) বলে এবং যে পদ্ধতিতে সীমান্তের সৃষ্টি হয় তাকে ফ্রন্টোজেনিসিস (Frontogenisis) বলে। অন্যদিকে যে প্রক্রিয়ায় সীমান্ত বিলুপ্ত হয় তাকে ফন্ট্রোলাইসিস (Front- olysis) বলে।