বায়ুমণ্ডলের সঙ্গ্যে শক্তির মিথস্ক্রিয়া (Energy Interaction with Atmposhere):
সূর্য থেকে আগত আলোক রশ্মি বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে এসে পৃথিবীপৃষ্ঠে পড়ে এবং পৃথিবী-পৃষ্ঠের বস্তুর সঙ্গে দিখচিয়া করে আবার বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ফিরে যায় এবং সংবেদক (Sensor) দ্বারা ওই প্রতিফলিত রশ্মি গৃহীত হয়। আমরা খালি চোখে বায়ুমণ্ডলকে আলো প্রবেশের স্বচ্ছ মাধ্যম হিসাবে ধারণা করি এবং সমস্ত ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণের ক্ষেত্রে একই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে মনে করি। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না। আগত রশ্মি তার যাত্রাপথের দূরত্ব, বায়ুমন্ডলের মধ্যস্থিত পদার্থের অবস্থা ইত্যাদির প্রভাবের ফলে কিছুটা পরিবর্তিত হয়। আগত রশ্মি কিছু পরিমাণ শোষিত হয়, কিছু পরিমাণ বিচ্ছুরিত হয় এবং বাকী অংশের প্রেরণ ঘটে।
Energy Interaction with Atmosphere |
Remote Sensing ব্যবস্থায় গৃহীত বিকিরণের তীব্রতা ও আলোক বর্ণালী গঠনের ক্ষেত্রে বায়ুমণ্ডলের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। বায়ুমণ্ডলস্থ ধুলিকণা ও গ্যাসীয় পদার্থ আগত আলোক রশ্মি এবং তার বিকিরণের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ইহা সাধারণত চার প্রকারের হয়। যথা-
(1) শস্তির প্রেরণ (Transmission)
(৪) শক্তির প্রতিসরণ (Refraction)
(ii) শক্তির শোষণ (Absorption)
(iv) শক্তির বিচ্ছুরণ (Scattering)
শক্তির প্রেরণ (Transmission of Energy):
-কোন পদার্থ থেকে শক্তি বেরিয়ে যাওয়াকে শক্তির প্রেরণ বলে। যখন তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তি কোন পরিবর্তন ছাড়াই কোন মাধ্যম দিয়ে পরিবাহিত হয় তখন তাকে Transmission বলা হয়।
যদি প্রবাহের মাধ্যমের ঘনত্বের পরিবর্তন ঘটে তবে এক্ষেত্রে তড়িৎ চুম্বকীয় শক্তির বেগ পরিবর্তিত হতে পারে। কিন্তু শক্তির কোন ক্ষয় ঘটে না।
শক্তির প্রতিসরণ (Refraction of Energy)
প্রতিসরণ বা Refraction হল আলোক প্রবাহের এমন একটি বৈশিষ্ট্য যেখানে আলোক রশ্মি এক মাধ্যম থেকে অন্য মাধ্যমে প্রবেশ করার সময় মাধ্যমের ঘনত্বের পরিবর্তনের জন্য আলোর গতির দিক বেঁকে (Bending) যায়।