বায়ুমণ্ডলের গঠন (Composition of Atmosphere):
বায়ুমণ্ডলের গুরুত্ব জীবজগতের কাছে অপরিসীম। বায়ুমণ্ডল হালকা হওয়ায় এটি অশ্মমণ্ডল ও বারিমণ্ডলের ওপরে অবস্থান করছে। এর কোনো বর্ণ, গন্ধ ও আকৃতি নেই। তাই অনুভূতির মাধ্যমেই বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্বকে বুঝে নিতে হয়। প্রাচীন গ্রিসে জ্যোতির্বিদ্যা চর্চার মধ্য দিয়ে বায়ুমণ্ডল সংক্রান্ত আলোচনার সূত্রপাত হয়। ওই সময় গ্রিসে মনে করা হত বায়ুমণ্ডল একই উপাদানে গঠিত, একটি মৌলিক পদার্থ বিশেষ। তবে ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে শীলে, প্রিস্টশিলি, ল্যাভয়সিয়ে প্রমুখ বিজ্ঞানী নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করে দেখান যে, বায়ুমণ্ডল একটি মৌলিক উপাদানে গঠিত নয়, বরং এটি একটি যৌগিক মিশ্রণ। এতে বিভিন্ন ধরনের গ্যাস, জলীয় বাষ্প, ধূলিকণা, মেঘ ও কুয়াশার সমন্বয় ঘটেছে। তাই বলা যায় বায়ুমণ্ডল তিনটি উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। যথা-
1. গ্যাসীয় উপাদান (Gaseous components),
2. জলীয় বাষ্প (Water Vapour) ও
3. অ্যারোসল (Aerosol) (ধুলিকণা, লবণকণা অথবা কয়লার সূক্ষ্মগুঁড়ো ইত্যাদি)।