জলবায়ুর শ্রেণিবিভাজন (Climatic Classification)
ভূমিকা (Introduction) :
পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশে আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদানগুলির আঞ্চলিক তারতম্যের কারণে ভিন্ন ভিন্ন প্রকৃতির জলবায়ু সৃষ্টি হয়েছে। এই সকল উপাদানগুলির সমন্বয়ে সমধর্মিতার ভিত্তিতে আবহবিদগণ সমগ্র পৃথিবীকে কতকগুলি জলবায়ু অঞ্চলে বিভক্ত করেছেন। এগুলিকেই পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণিবিভাজন (Climatic Classification) বলে।
তবে পৃথিবীর জলবায়ুর শ্রেণিবিভাজন করার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হল জলবায়ুর প্রধান প্রধান উপাদানগুলি সম্পর্কে পর্যপ্ত পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করা। জলবায়ুর শ্রেণিবিভাজনের সময় প্রতিটি জলবায়ুর উপাদানের উপর সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কোনো একটি বা দুটি নির্দিষ্ট উপাদানের উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করলে জলবায়ুর শ্রেণিবিভাজনটি ত্রুটিপূর্ণ থেকে যায়। আবার, অঞ্চলভেদে সবকটি উপাদানের পর্যাপ্ত পরিমাণ তথ্য সংগ্রহ করাও দুর্লভ। উন্নত প্রযুক্তির অভাবে বহু আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (Weather Station) থেকে সঠিক ও উপযুক্ত তথ্য সংগ্রহ করাই সম্ভব হয় না। ফলস্বরূপ জলবায়ুর একাধিক শ্রেণিবিভাজনের উৎপত্তি ঘটেছে। এমনকি প্রায় প্রত্যেকেই তাঁদের নিজস্ব শ্রেণিবিভাজনগুলি বহুবার পরিমার্জনা করেছেন।