welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

ক্রান্তীয় গোলযোগের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Tropical cyclone) :

ক্রান্তীয় গোলযোগের শ্রেণিবিভাগ (Classification of Tropical cyclone) :


বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (World Meteorological Organisation) ক্রান্তীয় গোলযোগকে তীব্রতার মাপকাঠিতে দুই ভাগে ভাগ করেছে। যথা- 

1. দুর্বল ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত এবং 

2. প্রবল বা শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত।



1. দুর্বল ঘূর্ণবাত (Weak Cyclone):

উভয় গোলার্ধের ক্রান্তীয় অঞ্চলের মধ্যে মৃদু নিম্নচাপ কেন্দ্রবিশিষ্ট ঝড়কে দুর্বল ঘূর্ণবাত বলে। তীব্রতার ভিত্তিতে এই শ্রেণির ঘূর্ণবাত সাধারণত তিন প্রকার। যথা-


(a) পুবালি তরঙ্গ (Easterly Waves):

 পুবালি তরঙ্গ আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের ক্রান্তীয় অঞ্চলের পশ্চিমাংশে দেখা যায়। আয়ন বায়ুর দিক অনুসারে এগুলি দীর্ঘায়িত নিম্নচাপ অর্থাৎ, trough বা দ্রোণী বরাবর পূর্ব থেকে পশ্চিমে তরঙ্গরূপে এগিয়ে যায়। এগুলির তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিস্তার 1,900-2,000 কিমি। গতিবেগ ঘণ্টায় 40 কিমি। এর সামনে আবহাওয়া শান্ত ও পরিষ্কার থাকে কিন্তু পিছনে বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বর্ষণ হয়।


(b) ক্রান্তীয় নিম্নচাপ (Tropical Depression):

এটি দুর্বল প্রকৃতির ঘূর্ণিঝড়, যেখানে একটি নিম্নচাপ কেন্দ্রের চারদিকে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় 40 থেকে 60 কিমি হয়। নিম্নচাপ ব্যবস্থাটি মাত্র কয়েকটি এককেন্দ্রিক বৃত্তাকার সমপ্রেষ রেখা দ্বারা আবদ্ধ থাকে। সমপ্রেষ রেখাগুলি খুব বেশি ঘনসন্নিবিষ্ট থাকে না, ব্যাস 200-500 কিমি হয়। এই ধরনের নিম্নচাপ ITCZ-এর নিকট যথেষ্ট বেশি সংখ্যায় থাকে, কিন্তু আয়ন বায়ু বলয়ে এর সংখ্যা খুব কম। এ ধরনের বহু নিম্নচাপ ছোটোখাটো ঝঞ্ঝা তৈরি করে, কিন্তু কোনো কোনো অঞ্চলে ডিপ্রেসন হঠাৎ কোনো কারণে শক্তিশালী হলে প্রধান ঝড়ে পরিণত হয়। এজাতীয় ঘূর্ণবাতে প্রবল ঝঞ্ঝাপূর্ণ বাতাসের সৃষ্টি হয় না। কেবলমাত্র জোরে বায়ু প্রবাহিত হয়। এরা সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয়। এইপ্রকার ঘূর্ণবাতে একটানা কয়েকদিন বৃষ্টি হয়। উয়-আর্দ্র সামুদ্রিক বায়ুপুঞ্জ (যেমন-মৌসুমি বায়ু) ও শুষ্ক মহাদেশীয় বায়ুপুঞ্জের সংঘর্ষের ফলে এই প্রকার ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়। গ্রীষ্মের শেষে এগুলি প্রায়ই শক্তিশালী ঘূর্ণবাতে পরিণত হয়।


(c) ক্রান্তীয় ঝড় (Tropical Storm) :

এটি শক্তিশালী ঘূর্ণবাত, যা একটি নির্দিষ্ট গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রকে ঘিরে অবস্থান করে এবং যার চারদিকে বাতাস ঘণ্টায় 40 থেকে 120 কিমি বেগে প্রবাহিত হয়। সমপ্রেষ রেখাগুলি প্রায় এককেন্দ্রিক বৃত্তরূপে ঘনসন্নিবিষ্ট হয়ে অবস্থান করে। এদের ব্যাস 500-1000 কিমি। এগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং একটানা কয়েকদিন ঝোড়ো আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাতও ঘটায়।


2. তীব্র ঘূর্ণবাত (Severe Cyclone) :

নিরক্ষরেখার উভয় দিকে সৃষ্ট অতি প্রবল ও শক্তিশালী ঘূর্ণবাতকে তীব্র ঘূর্ণবাত বলে। এগুলি হল-টর্নেডো, টাইফুন, হারিকেন, সাইক্লোন প্রভৃতি।



এগুলি এক প্রবল ও শক্তিশালী ঘূর্ণবাত, যার কেন্দ্রে একটি অতি গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্র থাকে। ঘূর্ণবাতের চারদিকে কমপক্ষে ঘণ্টায় 120 থেকে 300 বা 400 কিমি পর্যন্ত বেগে বাতাস বয়ে যায়। এসব ঘূর্ণবাতে সমপ্রেষ রেখাগুলি সম্পূর্ণ বৃত্তাকার ও খুব ঘন সন্নিবিষ্ট থাকে। এখানে চাপের পার্থক্য কখনও কখনও 40 মিলিবার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এসব বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় সচরাচর ঘটে না। ক্রান্তীয় অঞ্চলের কেবলমাত্র নির্দিষ্ট এলাকায় উভয় গোলার্ধের


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Middle post ad 01