বজ্রঝড়ের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Thunderstorm):
1. পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের তুলনায় উন্নতার স্থানীয় পার্থক্যের কারণে উয় ও আর্দ্র বায়ুর দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী উত্থান এবং চরম অস্থিতিশীল পরিবেশের কারণে ঊর্ধ্বমুখী বায়ুর অ্যাডিয়াবেটিক পদ্ধতিতে শীতলীভবনের ফলে বজ্রগর্ভ কিউমুলোনিম্বাস মেঘের সৃষ্টি হয়।
2. এই কিউমুলোনিম্বাস মেঘ থেকে ঘন ঘন বিদ্যুতের ঝলক (Lightning) এবং বজ্রপাত (thunder) লক্ষ করা যায়।
3. বজ্রঝড় খুবই ক্ষণস্থায়ী। এর স্থায়িত্ব 45 মিনিট থেকে 1 ঘণ্টা।
4. বজ্রগর্ভ মেঘের উচ্চতা সাধারণত ভূপৃষ্ঠ থেকে 4-20 কিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং ট্রপোপজের কাছাকাছি মেঘের অনুভূমিক প্রসারণের ফলে কিউমুলোনিম্বাস মেঘটি দেখতে নেহাই আকৃতির (Anvil shape) হয়।
5. বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিপাতের স্থায়িত্ব 20-30 মিনিট এবং বৃষ্টিপাতের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি লক্ষ করা যায়। তবে সব বজ্রঝড়ে শিলাবৃষ্টি হয় না।
6. বজ্রঝড়ে সাধারণত তিন থেকে পাঁচটি সক্রিয় পরিচলন কোশ (Convective cell) লক্ষ করা যায়। এই কোশগুলির জীবনচক্রকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যথা-কিউমুলাস পর্যায়, পরিণত পর্যায় ও অবলুপ্তি পর্যায়।
7. সাধারণত গ্রীষ্মকালে বিকেলের দিকে (মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর) বজ্রঝড় সর্বাধিক লক্ষ করা যায়।
৪. এটি নিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপত্তি লাভ করলেও ক্রান্তীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায়।
9. বজ্রঝড়ে বায়ুর গতিবেগ সাধারণত ঘণ্টায় 60 থেকে 70 কিমি হয়। কিন্তু তীব্র বজ্রঝড়ের ক্ষেত্রে গতিবেগ বেড়ে ঘণ্টায় 100 থেকে 125 কিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে।