প্রতীপ ঘূর্ণবাতে বৈশিষ্ট্য (Characteristics of Anti-cyclone) :
(i) স্থায়িত্ব: প্রতীপ ঘূর্ণবাতে বাতাস অধোগামী হওয়ার জন্য এটি ঘূর্ণবাত অপেক্ষা খুবই সুস্থিত (Stable)।
(ii) বায়ুপ্রবাহের দিক: উত্তর গোলার্ধে প্রতীপ ঘূর্ণবাত ঘড়ির কাঁটার দিকে অর্থাৎ দক্ষিণাবর্তে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে অর্থাৎ বামাবর্তে প্রবাহিত হয়।
(iii) বায়ুচাপ: ঘূর্ণবাতের কেন্দ্রে উচ্চচাপ অবস্থান করে এবং বাইরের দিকে চাপ ক্রমশ কমতে থাকে। এই চাপের পার্থক্য 10 থেকে 20 মিলিবার পর্যন্ত হয়।
(iv) বিস্তৃতি: বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রতীপ ঘূর্ণবাত অবস্থান করে। এই ঘূর্ণবাতের বিস্তার 3,000 কিমি বা তারও বেশি হয়ে থাকে।
(v) বায়ুর গতিবেগ : প্রতীপ ঘূর্ণবাতে সমপ্রেষরেখাগুলি ঘূর্ণবাতের তুলনায় দূরে দূরে অবস্থান করে, ফলে বায়ুচাপের ঢাল কম হওয়ায় বায়ুপ্রবাহের গতি কম হয়।
(vi) আবহাওয়া : প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কোনোপ্রকার মেঘ সৃষ্টি হয় না বলে আবহাওয়া অনেকটাই শান্ত, শুষ্ক ও বৃষ্টিহীন হয়। তবে গ্রীষ্মকালে হালকা কুয়াশা ও শীতকালে ঘন কুয়াশা ও তুহিন লক্ষ করা যায়।
(vii) বায়ুপ্রবাহের দিক পরিবর্তন : প্রতীপ ঘূর্ণবাতে কোনো সীমান্ত না থাকায় এর নির্দিষ্ট কোনো বায়ুর স্থানান্তর রেখা (Wind shift line) দেখা যায় না। কিন্তু প্রতীপ ঘূর্ণবাত যতই ক্রিয়াশীল হতে থাকে ততই বায়ুপ্রবাহের দিক ক্রমশই পরিবর্তিত হতে থাকে।
(viii) ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ: কম গতিসম্পন্ন ও নিম্নমুখী হওয়ায় প্রতীপ ঘূর্ণবাত কোনোপ্রকার ক্ষয়ক্ষতি করে না।