পরিবহন ব্যয়-কাঠামোর উপর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ [ Administrative controls on transport cost-structure ] :
শিল্পায়ন বা শিল্পের পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে অনেক সময় কোনো সরকার বা প্রশাসন দূরত্বের আনুপাতিক পরিবহন ব্যয় বা আঞ্চলিক সমপরিবহন ব্যয় (ফ্রেট কস্ট বা ব্ল্যাংকেট রেট) কাঠামোকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভরতুকি দিয়ে পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে ওই অঞ্চলে পরিবহন ব্যয় কাঠামো সংগঠকদের লাভজনক বলে মনে হয়।
এই প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে সুপিরিয়র হ্রদের তীরবর্তী অঞ্চলে লৌহ-ইস্পাত শিল্প গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে সরকার "পিটসবার্গ প্লাস" (Pittsburg Plus) পদ্ধতি চালু করেন।
এই পদ্ধতি অনুসারে দেশের যে-কোনো স্থানে ইস্পাত পরিবহনের খরচকে পিটসবার্গ থেকে ওই স্থানে ইস্পাত পরিবহন করতে হলে আসলে যে খরচ হত, সেই খরচ ধরা হয়। যেমন সান ফ্রানসিসকো থেকে সিয়াটলে ইস্পাত পরিবহনের ধার্য খরচ - পিটসবার্গ থেকে সিয়াটলে ইস্পাতের সরবরাহ ব্যয়; হাউসটন থেকে হাউসটনে ইস্পাত পরিবহনের ধার্য খরচ = পিটসবার্গ থেকে হাউসটনে ইস্পাতের সরবরাহ ব্যয়। অর্থাৎ এই নিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যয়-কাঠামো অনুসারে পিটসবার্গে উৎপাদিত ইস্পাতের দাম সব সময় লাভজনক। এই নীতির ফলে পিটসবার্গ অঞ্চলে ইস্পাত শিল্পের একদেশিভক ঘটে। 1924 সালের পর দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ইস্পাত প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির প্রচণ্ড প্রতিবাদের ফলে আমেরিকান সরকার "পিটসবার্গ প্লাস" পদ্ধতি প্রত্যাহার করেন।