ওজোন ক্ষতের বর্তমান পরিস্থিতি (Present Scenario of Ozone hole) :
1987 সালে স্বাক্ষরিত মন্ট্রিল চুক্তির পর থেকে সারা বিশ্বে CFC-এর ব্যবহার এবং CFC ঘটিত যৌগোর উৎপাদন সম্পূর্ণ বহু করে দেওয়ার অঙ্গিকারের সুবাদে ওজোন স্তরের ধীরে ধীরে উন্নতি ঘটছে। 2000 সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ওজোন ক্ষত কমেছে প্রায় 40 লক্ষ বর্গকিমি এলাকায়।
ওজোন স্তরের অবস্থা পর্যবেক্ষনের জন্য নাসা (NASA) 2005 সাল থেকে ওজোন স্তরের ঘনত্ব মেপে চলেছে। ওজোন স্তরের ঘনত্ব মাপার জন্য নাসা তাদের প্রেরিত কৃত্তিম উপগ্রহ অরা (Aura)-কে ব্যবহার করেছে। এই কৃত্তিম উপগ্রহে মাইক্রোওয়েভ লিম্ব সাউণ্ডার (Microwave limb sounder) নামের এক কৃত্তিম যন্ত্র বসিয়ে 2005 থেকে 2016 সাল পর্যন্ত প্রতি শীতে ওজোন স্তরের কতটা পরিবর্তন হচ্ছে সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
এই তথ্য বিশ্লেষণ করে Nature পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ করে নাসা দাবি করেছে CFC-এর ব্যবহার আন্তর্জাতিক স্তরে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় এই এক দশকের মধ্যে ওজোন ক্ষতের হার 20 শতাংশ কমে এসেছে। তাদের দাবি এই হারে কমতে থাকলে 2060 থেকে 2080 সালের মধ্যে ওজোন ক্ষত অনেকটাই কমে যাবে। 2080-এর পর যে যৎসামান্য ক্ষত থাকবে তা পৃথিবীর বাসিন্দাদের পক্ষে ততটাও ক্ষতিকর হবে না। নাসা আরও দাবি করেছে যে ওজোন ক্ষত হ্রাস পেতে এতটা সময় লাগার কারন হল CFC-এর আয়ুস্কাল। আগে থেকে জমে থাকা CFC যেহেতু পরিবেশে দীর্ঘদিন। বেচে থাকছে তাই এতদ্রুত এই ক্ষত নির্মূল হওয়া সম্ভব নয়।
অতি সম্প্ৰতি 23 এপ্রিল 2020 সালে European Union's Earth Monitoring Programme-এর সামাজিক সংযোগ মাধ্যম Copernicus Atmospheric Monitoring Service (CAMS)-এ দাবি করেছে যে আর্টিক অঞ্চলে সৃষ্ঠ 1 মিলিয়ন বর্গকিমি এলাকা জুরে থাকে সবচেয়ে বড় Ozone hole টি সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে গেছে। CAMS-এর এই দাবিকে রাষ্ট্রপুঞ্জের আবহাওয়া দপ্তর WMO পরবর্তীকালে স্বীকৃতি দেয়। CAMS-এর দাবি আর্টিক অঞ্চলে তৈরি হওয়া মেরু আবর্তের (Polar Vortese) বিভাজন ও দ্রুত বিলোপ এর প্রধানতম কারণ।