পরিবেশগত অবক্ষয় ও পরিবেশ দূষণের মধ্যে পার্থক্য (Difference Between Environmental Degradation and Environmental Pollution)
সংগাগত পার্থক্য
পরিবেশ এর সকল প্রকার ক্ষতি জনিত বিষয়টিকে পরিবেশের অবক্ষয় বলা হয়েছে।
পরিবেশে বায়ু জল মৃত্তিকা ইত্যাদিতে দূষক পদার্থের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি। কে পরিবেশ দূষণ বলা হয়েছে।
অর্থগত পার্থক্য
এটি পদার্থের স্থানান্তর ও দূষিত হওয়া উভয়কেই বোঝায়।
এটি কেবল দূষিত হয়ে গুণমান নষ্ট হওয়াকে বোঝায় ৷
কারণ জনিত পার্থক্য
অবক্ষয়ের জন্য মনুষ্যসৃষ্ট কারণ এবং প্রাকৃতিক কারণ উভয়ই তাৎপর্যপূর্ণ, যেমন দাবানলের ফলে অরণ্য হানি; প্রাকৃতিক কারণে যেমন, ভূমিকম্প ও ভূমিধস প্রভৃতির ফলে ভূমি ভাগের অবক্ষয়, বন্যা জনিত কারণে জলের গুণমান হ্রাস, আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ জনিত বায়ুদূষণ ইত্যাদিকে অন্তর্ভুক্ত করে।
পরিবেশ দূষণের কারণ মূলতঃ কলকারখানার ধোঁয়া,শিল্প ও খনি খনন থেকে আগত কঠিন বস্তুকণা ইত্যাদি থেকে থেকে বায়ু দূষণ, কৃষি কাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক থেকে জল ও ভূমি দূষণ ইত্যাদি।
অবক্ষয়ের প্রকৃতি
মৃত্তিকা ক্ষয় ও বাহ্যিক পদার্থের মিশ্রণ ও গুনমানে অবনতি, বায়ুর ধূলিকণা ও বিভিন্ন দূষক গ্যাসের উপস্থিতি, অরণ্যভূমির ক্ষতিসাধন ইত্যাদি এর অন্তর্গত।
জল, বায়ু, মৃত্তিকায় বিভিন্ন বাহ্যিক উৎস থেকে দূষিত পদার্থের মিশ্রণ এর ফলে জল, বায়ু, মৃত্তিকা দূষণ ঘটে।
পুরনযোগ্যতা
অবক্ষয়ের ফলে পুরণযোগ্যতার জন্য দীর্ঘ সময়ের ব্যবধান প্রয়োজন হয়, যেমন ভূমি সহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব বা ক্ষয়জনিত হ্রাস পূরণ হতে দীর্ঘ,অতিদীর্ঘ (খনিজক্ষেত্রে ভূতাত্ত্বিক সময়) লাগে।
দূষনে প্রক্রিয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে মনুষ্য হস্তক্ষেপে যেমন হয় তেমনি মানুষের সদিচ্ছা ও প্রযুক্তি প্রয়োগে দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে সম্ভব হয়।