welcome to mygeo.in Indian no 1 geography based website in Bengali

লা-নিনা কী ? এবং লা নিনার উৎপত্তি,বৈশিষ্ট্য,প্রভাব(Defination of La-Nina and Origin,Features,Impact ):

লা-নিনা শব্দের অর্থ শিশু কন্যা (Little Girl)। এটি এল-নিনোর বিপরীত অবস্থা। বায়ু সঞ্চলনের স্বাভাবিক অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে অক্ষরেখা বরাবর বায়ু পূর্

 লা-নিনা কী ? এবং লা নিনার উৎপত্তি,বৈশিষ্ট্য,প্রভাব(Defination of La-Nina  and  Origin,Features,Impact ):


লা-নিনা শব্দের অর্থ শিশু কন্যা (Little Girl)। এটি এল-নিনোর বিপরীত অবস্থা। বায়ু সঞ্চলনের স্বাভাবিক অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরে অক্ষরেখা বরাবর বায়ু পূর্ব দিকের উচ্চচাপ বলয় থেকে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়। এই অবস্থায় সমূদ্রের পৃষ্ঠজ্জলের উন্নতা স্বাভাবিক উন্নতা অপেক্ষা 4° সেঃ কমে গেলে পেরু-চিলি উপকূল বরাবর যে শীতল সমুদ্রস্রোত প্রবাহিত হয় তাকে লা-নিনা বলে। লা-নিনাকে মাঝে মাঝে বলা হয় এল-ভিয়েজো (El-Viejo) ও প্রতি এল-নিনো (Anti El-nino) বা সহজভাবে “এক শীতল ঘটনা”।

• উৎপত্তি:

 প্রশান্ত মহাসাগরের নিরক্ষীয় অঞ্চলে প্রবাহিত দক্ষিণ-পূর্ব আয়ন বায়ু শক্তিশালী হলে সমুদ্রের পৃষ্ঠ (Surface Water) পশ্চিম দিকে তাড়িত হয়। তখন পেরু ও ইকুয়েডর সংলগ্ন সমুদ্রের নীচ থেকে প্লাঙ্কটন মিশ্রিত শীতল জলের ঊধ্বগামী আর্বত ঘটে। এতে সমুদ্রপৃষ্ঠের জলের তাপমাত্রা অনেকটা কমে যায়। এই শীতল ঘটনা বা পর্যায়ের মাধ্যমেই লা-নিনার উৎপত্তি হয়। এই ঘটনাকে এল-নিনো দক্ষিণী দোলনের শীতল অবস্থা (Cold phase of Southern Oscilation) বলে।


• বৈশিষ্ট্য : 

ওয়াকার সম্মলনের স্বাভাবিক অবস্থায় লা-নিনার আবির্ভাব ঘটে। এটি একটি অস্বাভাবিক ধরনের শীতলতর স্রোত। ইকুয়েডর, পেরু ও চিলি উপকূলে (5° উঃ থেকে 5° দঃ অক্ষাংশ ও 90°-120° পঃ দ্রাঘিমা) যে সময়ে সমুদ্র জলের উপরিভাগের উয়তা স্বাভাবিকের তুলনায় 4° সেঃ হ্রাস পায় এবং সেই সঙ্গে থার্মোক্রাইন স্তর ওপরে উঠে আসে তখন লা-নিনার প্রবাহ ঘটে। বস্তুত, লা-নিনা পর্যায়ে শীতল জলের ঊর্ধ্বমুখী আবর্ত (upwell ing) ঘটতে থাকে। লা-নিনা প্রবাহের স্থায়িত্ব বেশির ভাগ ক্ষেত্রে 6 মাস থাকে। তবে কখনো কখনো তা 2 বছর যাবৎ চলতে পারে।


• প্রভাব : 

 (1) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ইন্দোনেশিয়া,                         অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে ভালো বৃষ্টিপাত হয়। 

 (2) এর প্রভাবে ভারতে মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকে।

 (3) পেরু উপকূলে সামুদ্রিক মাছের প্রচুর সমাবেশ ঘটে ও                   জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি পায়। 

 (4) দক্ষিণে কুমেরু স্রোতের ভাসমান হিমশৈলের সংখ্যাও বৃদ্ধি            পায়।

Middle post ad 01