ডেটাম এর ধারণা (concept of datum)
পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরিভাগ সমতল নয় বলে ডেটাম ধারণাটি এসেছে। তাই পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরিভাগকে সমতল ধরে নিয়ে যে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর অবস্থান (অক্ষাংশ ও দাঘিমাংশ) নির্ণয়ে ডেটাম শব্দটি ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ ডেটাম হল একটি সিস্টেম যা কোনো বিন্দুর অবস্থান, দিক ও স্পর্শক স্থাপন করে।
সংজ্ঞা(definition)
● সমতল ভূপৃষ্ঠের উপর যে কোনো একটি নির্দিষ্ট বিন্দুর -অবস্থান ধরে অন্যান্য স্থানের উন্নতি বা অবনতি হিসাব করা হয়। এই বিশেষ বিন্দুকেই ডেটাম (datum) বলে।
এই ডেটাম সমতলের সমান্তরালে যদি কোনো রেখা ধরা হয় তখন তাকে ডেটাম রেখা (datum line) বলে। উল্ল দূরত্ব মাপার জন্য লেভেল পৃষ্ঠ বা রেখায় যে কাল্পনিক বা ইচ্ছেমতো তল ধরা হয় তাকে ডেটাম তল (datum level) বলে।
জোয়ার ভাটা জনিত সমুদ্র সমতলের ওঠা-নামার গড় উচ্চতাকে গড় সমুদ্র সমতল (mean sea level- MSL) বলে। অনেক সময় একে ডেটাম তল বলে। ভারতের ক্ষেত্রে আগে করাচির সমুদ্র সমতলকে MSL ধরা হত। বর্তমানে চেন্নাইয়ের সমুদ্র সমতলকে MSL ধরা হয়।
ডেটাম-এর প্রকারভেদ (types of datum)
ডেটাম দুই প্রকার। যথা—
1 global datum বা global geodetic datum geocentric datum
2 local datum
1 গ্লোবাল ডেটাম (global datum)
সংজ্ঞা( definition)
পৃথিবীর ভরকেন্দ্র ও উপগোলক-এর কেন্দ্রকে একই বিন্দু রেখে যে ডেটাম তৈরি করা হয় তাকে ভূ কেন্দ্রিক ডেটাম বা গ্লোবাল জিওডেটিক ডেটাম বলে।
• ব্যবহার
জি.পি.এ. (GPS) প্রযুক্তিতে মোবাল ডেটা ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ
(1) WGS-1984 (1) GDA-1994m
স্থানীয় ডেটাম (local datum)
সংজ্ঞা:
পৃথিবীর কোনো ক্ষুদ্র অংশের মতো সামজস্যপূর্ণ ডেটামকে স্থানীয় ডেটাম (local datum) বলে।
বৈশিষ্ট্যঃ
(i) স্থানীয় ডেটান-এর ক্ষেত্রে পৃথিবীর ভরকেন্দ্র ও উপগোলক-এর কেন্দ্র আলাদা হয়।
(ii) পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের নিজস্ব এ জাতীয় স্থানীয় ডেটাম আছে।
উদাহরণ:
(i) ভারতের Everest-1830
(ii) ইংল্যান্ডের NAD-1984,
(iii) অস্ট্রেলিয়ার AGO 1984