জনসংখ্যা পিরামিত কাকে বলে ? প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট, বিবরণ (What is the population parameter? Types, features, descriptions)
জনসংখ্যা পিরামিড population Pyramid :
যে চিত্রের সাহায্যে বয়স স্ত্রী-পুরুষভেদে জনসংখ্যাকে বোঝানো যায় এবং যার অনুভূমিক অক্ষে স্ত্রী ও পুরুষ। উলম্ব অক্ষে বয়স নীর্দেশ করে তাকে জনসংখ্যা পিরামিড Population Pyramid বলে ।
বৈশিষ্ট্য:
i} এর দ্বারা কোনো স্থান বা দেশের জনসংখ্যা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ii) জনসংখ্যার প্রকৃতি, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশের তারতম্য জনসংখ্যা পিরামিডের আকৃতিগত পার্থক্য করা যায়।
iii) জনেসংখ্যা বৃদ্ধির গতি প্রকৃতি, নারী জনসংখ্যা
পুরুষের জনেসংখ্যা, জন্মহার, মৃত্যুহার প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
বিভিন্ন প্রকার জনসংখ্যা পিরামিডঃ
বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের সাদৃশ্য ও পার্থক্য বিশ্লেষণ করে জনসংখ্যাবিদজ্ঞান ও প্রকার জনসংখ্যা পিরামিত চিহ্নিত করেছেন। | এগুলি হল:
প্রথম শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিড (Type-1):
এই ধরনের পিরামিডের ভূমিডাগ বেশ চওড়া ও প্রান্তদ্বয় মৃদ্যু চালু হয়। যেসব দেশের
i এ জন্মহার ও মৃত্যুহার খুব বেশি
iiশিশু ও যুবকের সংখ্যা খুব বেশি
iiiখন্দকয়দ্ধ নির্ভরশীলতার পরিমম খুব বেশি সেই সব দেশের জনসংখ্যা পিরামিডের আকৃতি এ ধরনের হয়।
পিরামিডের শীর্ষভাগ অপ্রকান্ত এবং তার উচ্চতাও বেশি হয় না।
ও জন্মহার মৃত্যুহারের চেয়ে বেশি বলেই 15 বছর বা তার কম বয়সী কিশোর-কিশোরী। ওশিশুর সংখ্যা বেশী। মৃত্যুহার বেশি বলে 60 বছর তার বেশি বয়স্ক জনসংখ্যাও কম। এই ধরনের পিরামিড অনুন্নত সমাজ ব্যবস্থা কে নির্দেশ করে।
উদাহরণঃ ইমিওপিয়া, রুয়ান্ডা, নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ প্রভৃতি দেশের জনসংখ্যা পিরামিড এই ধরনের।
দ্বিতীয় শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিড (Type-2):
প্রথম এর তুলনায় এই ধরান এর পিরামিডের ভূমি আরও চওড়া এক আক্রয় ভূমি মোক অনক বেশি বাঁক নিয়ে শীর্ষবিন্দুতে মিলিত হয়। এসব দেশে
i) জন্মহার খুব বেশি থাকলেও মৃত্যুহার ভূত হ্রাস পাচ্ছে, সেইসব দেশে এই ধরনের জনসংখ্য। পিরামিও দেখা যায়,
ii) জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি বলে এই ধরনের জনসংখ্যা পিরামিড গড়ে ওঠে। জনসংখ্যা পিরামিডের শীর্ষভা সরু হয় এবং নির্ভরশীলতার বোঝা খুব বেশি হয়।
উদাহরন:- ভারত, আজিল, শ্রীলঙ্কা, মেক্সিকো, মালেশিয়া মালামশিয়া প্রভৃতি দেশের পিরামিত এই ধরনের হয়।
তৃতীয় শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিড (Type-1):
এই ধরনের পিরামিডের ভূমি কিছুটা সংকীর্ণ অনেকটা মৌমাছির ঢাকের মতো। যেসব দেশের জন্মহার ও মৃত্যুহার বেশ কম সেইসব দেশের জনসংখ্যা পিরামিতে শীর্ষদেশের আকৃতি এরূপ হয়। গড় পরমায় খুব বেশি বলে পিরামিডের শীর্ষ দেশ যেমন উঁচু হয় তেমনই স্বল্প বিস্তৃত হয়।
ও এই ধরনের পিরামিড অপেক্ষাকৃত উন্নতসমাজব্যবস্থাকে নির্দেশ করে।
উদাহরণ:
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির বিশেষত ব্রিটিশ যুক্তরাষ্ট্রে ধরনের জনসংখ্যা পিরামিত দেখা যায়। দ্বিতীয় বিশ্ব "যুদ্ধের পূর্বে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পিরামিড এরূপ আকৃতিবিশিষ্ট ছিল।
চতুর্থ শ্রেণির জনসংখ্যা পিরামিড (Type-4):
এই ধরনের পিরামিডের গঠন বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। এই পিরামিত সেই সমস্ত দেশের পক্ষে উপযুক্ত সেখানে জন্মহার ও মৃতহার বহুদিন কম থাকার পর হঠাৎই বামহার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। পিরামি ডের ভূমি প্রশস্ত্র ও প্রান্তভাগ প্রথমে ভিতরের দিক বাঁক নিলেও পরে বাই রের দিকে ঘন্টার মতো বাঁক নেয়। এই অবস্থা অন্তবর্তীকালীন অবস্থাকে নির্দেশ করছে। এরূপ পিরামিতে সুবক ও বয়স্ক সুবক ও বয়স্ক নির্ভরশীল জনসংখ্যার পরিমান বেশি হয়।
সাধারণত নিম্নবিত দেশ থেকে মানুষের চুরিও দেশে পরিব্রাজন করার ফলে ওই উচ্চবিত দেশগুলির জনসংখ্যা শিলালিত ঘন্টাবৃতি বিশিষ্ট হয়। তবে এই অবস্থা সামগ্রিকভাবে বিরাজ করে।
উদাহরণ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা প্রভৃতি দেশের জনসংখ্যা এই ধরনের হয়। পিরামিড
পঞ্চম শ্রেণির পিরামিড (Type-V):
এই পিরালিত সেইসব দেশের পরে উপযুক্ত সেখানে জন্মহারের পরিমাণ মৃত্যুহারের তুলনায়কম হয়। ফলে কিশোর কিশোরীদের সংখ্যা এই দেশ গুলিতে কম কিন্তু বুদ্ধ-বৃদ্ধাদের সংখ্যা বেশি।
ও প্রথম দিকে পিরামিডের ভূমি কিছুটা বিস্তৃত হলেও পরবর্তী কালে খুব অবতল আকৃতির হয়।
উদাহরণঃ 1930-এর দশকে ইউরোপের বহুদেশ এই অবস্থার সম্মুখীন হয়। জাপান ও সুইডেন-এর জনসংখ্যা পিরামিড এই ধরনের
গুরুত্ব Importance of Population Pyramid :
1) জনসংখ্যা পিরামিডের সাহায্যে নারী পুরুষের বয়সভিত্তিক বিন্যাসের তাৎপর্য ও তারতম্য প্রকাশ করা যায়।
2) কোন দেশ বা অঞ্চলের জন্ম ও মৃত্যুহার আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি এবং এবং জনসংখ্যা বিবর্তন তার সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়৷
3) কোনো দেশ বা অঞ্চলের নির্ভরশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়।
4) মোট জনসংখ্যার কতো অংশ মহিলা ও পুরুষ অজানতে এ জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি, প্রকৃতি সম্পর্কে ধারনা করতে পারি।
5) পিরামিডের শীর্ষদেশ সংকীর্ণ হলে স্বল্প আয়ু, উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ অনেক আর্থ সামাজিক অবস্থা নির্দেশ করে।