মানচিত্রের ধারণা (concept of map)
পৃথিবী অথবা এর কোনো অংশের প্রতিকৃতি নির্দিষ্ট স্কেল অনুসারে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাসহ সমতল কাগজের ওপর আঁকা হলে তাকে মানচিত্র (map) বলে। তবে গোলকীয় পৃথিবীকে সমতল কাগজে আঁকার জন্য আবার প্রয়োজন হয় অভিক্ষেপ (projection) পদ্ধতি। তাই, স্কেল ও অভিক্ষেপের সাহায্যেই মানচিত্র অঙ্কন করা হয় ও তার মধ্যে চিহ্নের সাহায্যে কোনো বস্তুর বা বিষয়ের আঞ্চলিক বিন্যাস দেখানো হয়।
মানচিত্র ভৌগোলিকদের কাছে অতি প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ (tool), যার সাহায্যে তারা পৃথিবীর যে কোনো অঞ্চল সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করতে পারে। শুধু ভৌগোলিকরাই নন, যে-কোনো মানুষের কাছেই এটি অপরিহার্য। বিশেষত, পর্যটক, প্রশাসক, স্থপতি, ইঞ্জিনিয়ার, গবেষক প্রভৃতি পেশার মানুষেরা মানচিত্রকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকে। এর প্রধান সুবিধা হল এর মাধ্যমে যে কোনো দেশ, রাজ্য বা অঞ্চলের সকল প্রকারের তথ্য জানা যায়। অর্থাৎ মানচিত্র হল কোনো অঞ্চলের যথার্থ প্রতিবিম্ব, যাকে প্রতিফলিত করা হয়। বিভিন্ন মাপের কাগজে।